, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

ফুলকি’র ৪৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব

প্রকাশ: ২০২০-০১-২৭ ০৯:৪২:৪৮ || আপডেট: ২০২০-০১-২৭ ০৯:৪২:৪৮

Spread the love

রাকিবউদ্দিন, বিনোদন ডেস্কঃ চট্টগ্রামের ব্যতিক্রমধর্মী স্কুল ফুলকি’র ৪৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।উৎসবের মধ্যে রয়েছে চিত্রকলা বিষয়ক কর্মশালা, ছবি প্রদর্শনী আর শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার সঞ্জীব বড়ুয়া, রাশেদ রউফ, ওমর কায়সার, সুজন বড়ুয়া ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী।

এসময় ফুলকি’র অধ্যক্ষ শীলা মোমেন, ফুলকি ট্রাস্টের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা আলীম, ফুলকি ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ রীতা দাশগুপ্ত এবং ভারত থেকে আসা নৃত্যগুরু রাজদ্বীপ ব্যানার্জী।

ওমর কায়সার বলেন, শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি ছোটদের মানস গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে সঠিকভাবে মানুষ হয় এজন্য দেশের সবকটি বিদ্যালয় যদি ফুলকির মতো পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করত তাহলে দেশের সব শিশু-কিশোর সুন্দর মনের অধিকারী হয়ে গড়ে উঠত।

আবুল মোমেন বলেন, উৎসব হলো মিলনমেলা। মানুষের মধ্যে বিচ্ছেদ, দূরত্ব, হিংসা বাড়ছে, সে জায়গায় উৎসবের প্রয়োজন আছে। উৎসবে ভেদাভেদ থাকে না, আনন্দ থাকে। জীবনে আনন্দের প্রয়োজন। তাই জীবন থেকে আনন্দের খোরাক নিতে হবে। জীবন আনন্দ হলে ইতিবাচক হবে সবকিছু। তাই ‘ফুলকি’ স্কুলের শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার অনুশীলন করে।

অতিথিদের বক্তব্যের আগে ব্রতচারী নৃত্য ও কারাতে প্রদর্শনী হয়। এরপর উদ্বোধনী সংগীত ও নাচের মাধ্যমে শুরু হয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।২২ শিশু মিলে বঙ্গবন্ধু ও বিদ্যাসাগরের লেখা ৪৪ বাণী টাঙানো, জাদু, সোনার তরীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শাস্ত্রীয় নৃত্যানুষ্ঠান এবং নাটক ‘পুঁথি পড়া, পাখি পড়া’ পরিবেশিত হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় আজ উৎসর্গ করা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে। এদিন সকাল থেকে থাকবে মাটির কাজ নিয়ে কর্মশালা। বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্ম নিয়ে ৩০ মিনিটের তিনটি প্রদর্শনী, আমন্ত্রিত অন্য স্কুলের পরিবেশনা, নাটকের গান, এবং সন্ধ্যায় থাকবে মিশরীয় মিথের ওপর তৈরি পরিবেশনা এবং রক্তকরবী সংগঠনের পরিবেশনায় ছোটদের জন্য বড়দের গান।

উৎসবের শেষ দিন শনিবার উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তৃতীয় দিনের আয়োজনে সকালে ছিল তাঁতের কর্মশালা, বিকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে জীবনীপাঠ ও ছড়া আবৃত্তি।এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিশুদের সাথে মুক্ত আলোচনা হবে। রাতে ঢোল, বাজি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে তিনদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে বলে আয়োজকরা জানান।

Logo-orginal