, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

সাকিব-মুশফিক বিহীন টাইগারদের হারিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

প্রকাশ: ২০২০-০১-২৫ ১৯:০০:৪৯ || আপডেট: ২০২০-০১-২৫ ১৯:০২:১৪

Spread the love

ক্রীড়া ডেস্কঃ সাকিব-মুশফিক বিহীন টাইগারদের হারিয়ে নিজেদের মাঠে সিরিজ জিতল পাকিস্তান, পর পর ২ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে পাক ক্রিকেট দল । মুশফিক,সাকিব, মাশরাফি ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভাল খেলবে তাহা আশা করা বৃথা ।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সিরিজ হাত ছাড়া করে টাইগার খ্যাত বাংলাদেশ দল ।

তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো স্বাগতিকরা। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) লাহোরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ২০ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

দলের জয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। দলের জয়ে ৪৪ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। এছাড়া ৪৯ বলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ৬৭ রান করেন হাফিজ।

১৩৭ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে দলীয় ৬ রানে তরুণ ওপেনার আহসান আলীর উইকেট হারায় পাকিস্তান। আহসানকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন শফিউল ইসলাম। তার গতির বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আহসান। আগের ম্যাচে অভিষেকে ৩৬ রান করা এ তরুণ ওপেনার শনিবার ফেরেন ৭ বলে শূন্য রানে।

এরপর ওয়ান ডাউনে নামা মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ১৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলেরর জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক বাবর আজম।

তামিম ইকবালের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা। শনিবার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ফলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া আফিফের ২১ ও রিয়াদের ১২ রান উল্লেখযোগ্য।

ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানে হারায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা নাঈম এদিন ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি।

এদিন তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুফল পাননি মারকুটে মেহেদি হাসান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ায়ের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ১১ রানে আউট হওয়া এ অলরাউন্ডার দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে করেন ১২ বলে মাত্র ৯ রান।

যাতে ৪.২ ওভারে দলীয় ২২ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মেহেদী। হাসনাইনের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলেই অবশ্য ক্যাচ তুলে দেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।

সরফরাজের বদলে দলে জায়গা পাওয়া উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান কট বিহাইন্ড করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাচটি তিনি গ্লাভস বন্দি করতে পারেননি। ১৬ রানে জীবন পান তামিম।

এদিন এক ধাপ নিচে চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরতে পারেননি জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে শাদাব খানের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

১৪.১ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনের আবেদনে সারা দিয়ে তামিম ইকবালকে এলবিউব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। ৪৪ রানে ব্যাটিংয়ে থাকা তামিম রিভিউ নিয়ে সফল হন। হাসনাইনের করা ওই ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে থার্ডম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা হারিস রউফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন। তার আগে ২০ বলে এক চার ও সমান ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১৪.৪ ওভারে ৮৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর দলিয় ১১৭ রানে তামিম এবং ১২৬ রানের সময় মাহমুদউল্লাহ আউট হন। যাতে এদিনও বড় স্কোরের স্বপ্ন মাটি হয়ে যায় টাইগারদের। স্বাগতিকদের পক্ষে মোহাম্মদ হাসনাইন ২০ রানে ২টি এবং আফ্রিদি (২২ রানে), হারিস রউফ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

Logo-orginal