, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

ঝাড়-ফুঁকের ছলে তরুণীকে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে কমরুদ্দিন

প্রকাশ: ২০২০-০২-০৭ ১৯:০৭:০৮ || আপডেট: ২০২০-০২-০৭ ১৯:০৭:০৮

Spread the love

ছবি, বিডি প্রতিদিনের ।
সিলেটের বিশ্বনাথে ঝাড়-ফুঁকের কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কমরুদ্দিন (৫০) নামে এক ভণ্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। সে তার ভাড়া বাসায় কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রায় দেড়বছর ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের ।

বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতা তরুণীর মা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই তালাবন্দী ঐ ধর্ষিতা তরুণীকে উদ্ধার ও কবিরাজের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে মধ্যরাতে আটক করা হয় কবিরাজ কমরুদ্দিনকেও।

তরুণীর মায়ের অভিযোগ, প্রায় দেড়বছর পূর্বে আমার বড় মেয়ে (ওই তরুণী) নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ে কবিরাজ কমরুদ্দিনের শরণাপন্ন হই। চিকিৎসার প্রয়োজনে আমার মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে এবং নগদ ১০ হাজার টাকা দিতে বলে সে। আমি কথামত টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি। পরবর্তীতে মেয়েকে আনার জন্যে সিফা তদবিরালয়ে যাওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। সে মেয়েকে আমার কাছে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
পুলিশ জানায়, উদ্ধারের পর তরুণী জানিয়েছে কবিরাজ কমরুদ্দিন চিকিৎসার নামে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে। তাকে দিনরাত ঘরের ভেতর তালা দিয়ে আটকে রাখত। কোথাও বের হতে দিত না। সম্প্রতি কমরুদ্দিন ভুয়া বিয়ের কাগজ তৈরি করে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কমরুদ্দিনের সিফা তদবিরালয়ে মূলত সুন্দরী তরুণীদের আনাগোনাই ছিল বেশি। এর আগে সে পলি নামে একটা মেয়েকেও এভাবে তার বাসায় আটকে রেখেছিল। মামলা দায়ের ও সস্ত্রীক কবিরাজ কমরুদ্দিনকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শামিম মূসা বলেন, শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Logo-orginal