, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কাতারের অর্থয়ানে তাজাকিস্তানে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, উদ্বোধক আমির শেখ তামিম

প্রকাশ: ২০২০-০২-১০ ১১:৪১:৪৭ || আপডেট: ২০২০-০২-১০ ১১:৪১:৪৭

Spread the love

ইসলামী ডেস্ক : গত অক্টোবরে কাতারের আমিরের উপস্থিতিতে মসজিদটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার সফর স্থগিত হওয়ার কারণে চলতি বছরের মার্চের প্রথম শুক্রবার জুমার নামাজের মাধ্যমে মসজিদটি উদ্বোধন করা হবে।

পামির মালভূমির দেশ তাজিকিস্তান। স্থলবেষ্টিত দেশটির উত্তরে কিরগিজস্তান, উত্তর ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন ও দক্ষিণে আফগানিস্তান।

দেশের সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী দুশানবে। দেশটির মোট আয়াতন ১ লাখ ৪৩ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। ১৯২৯ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফের স্বাধীনতা লাভ করে।

তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে এটিই একমাত্র দেশ, যেখানে ইসলাম ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় ধর্মের মর্যাদা লাভ করে।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের হিসাব মতে, দেশটির জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ মুসলমান, যাদের ৯৫ শতাংশ সুন্নি ও ৩ শতাংশ শিয়া। দেশটিতে কিছু সুফিবাদ চর্চাকারীও রয়েছে। সুন্নিদের অধিকাংশই হানাফি মাজহাবের অনুসারী।

তাজিকিস্তানে সপ্তম শতাব্দীতে আরবদের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে। সে সময় থেকেই ইসলাম তাজিক সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেখানে ধর্মচর্চার ব্যাপক প্রসার লাভ করে। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালনকারীর সংখ্যা ৯৯ শতাংশে গিয়ে পৌঁছায়। তাজিকিস্তানের জনগণ ধর্মভীরু। তারা নিজেদের মতো ধর্মচর্চা করার সুযোগ পান। তবে ২০০৫ সালে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেক্যুলার স্কুলগুলোয় মেয়েদের হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির নারীরা নিজেদের ঐতিহ্য হিসেবে হিজাব পরে থাকেন।

দুশানবেতে প্রচুর মসজিদ রয়েছে। দেশটির গ্র্যান্ড মসজিদের নাম ইমাম আবু হানিফা মসজিদ। তাজিকিস্তানে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল। তবে নতুন মসজিদ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইমাম আবু হানিফা মসজিদ দ্বিতীয় স্থানে চলে যাচ্ছে।

নতুন মসজিদটির নির্মাণকাজ ২০০৯ সালের অক্টোবরে শুরু হয়। মসজিদের নকশা করেছেন তাজিকিস্তান এবং কাতারের পেশাদার স্থাপত্যকুশলীরা। নকশায় পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের ছাপ রয়েছে। চারটি বড় মিনার, একটি বড় প্রধান গম্বুজ এবং ২০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের একসঙ্গে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটি দুশানবের উত্তরের উপকূলে অবস্থিত। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি গ্রন্থাগার, একটি সংগ্রহশালা ও বড় সভাকক্ষ রয়েছে। পুরো প্রকল্প শেষ করতে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।

সূত্র : দেশ রুপান্তর।

Logo-orginal