, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর” ব্যর্থ দল বিএনপি ?

প্রকাশ: ২০২০-০২-০৮ ১০:৪৩:৪০ || আপডেট: ২০২০-০২-০৮ ১১:০৫:০৫

Spread the love

ঢাকাঃ বিএনপি চেয়ারপারসন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর হল আজ, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বেগম জিয়া ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্তিতে দেশের সবকটি মিডিয়ায় লিড নিউজ হয়েছে,বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহ ।

তবে সাধারণ মানূষ ও দলটির সমর্থকদের প্রশ্ন বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কী করেছে বিএনপি নেতারা ? আইনি লড়াইয়ে ত্রুটি না থাকলেও, আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি ডানপন্থি এই দলটি ।

অথচ, বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলন হতে পারত বিএনপির মুল কর্মসুচী, হয়ত সে আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে অর্জিত হত গণতন্ত্র পুনঃ উদ্ধার, এমনটি মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, আন্দোলন নয় সরকারকে নুন্যতম চাপে আনতে পারেনি দ্বিধা বিভক্ত বিএনপি ।

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে গত দুই বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কিন্তু কোনো সুবিধা করতে পারেনি। আইনি লড়াই ও আন্দোলন-সংগ্রামে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা তো দূরের কথা সরকারের ওপর ন্যূনতম চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি দলটি।

খালেদার কারাবন্দির ১১ মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং দুই বছর পূর্তির প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। এ দুটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দলটির নেতারা বলেছেন- ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপি নির্বাচনে গেছে।’

চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে গত দুই বছর ধরে জনসভা, প্রতিবাদসভা, বিক্ষোভ সমাবেশ, গণঅনশন, প্রতীকী অনশন, গণস্বাক্ষর, গণসংযোগ, মানববন্ধন, বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ব্রিফিংসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। সর্বপরি জামিনে মুক্তির জন্য আইনি লড়াই অব্যাহত রেখেছে শুরু থেকেই। কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। ফলে ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শেষ দুই বছর কারাগারে রয়েছেন তিনি

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা হয় দলটির চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে। নেতাদের মধ্যে শঙ্কা যেমন আছে, তেমনি আছে আত্মসমালোচনা ও ব্যর্থতার গ্লানি। দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিহিংসামূলক আচরণের কারণেই খালেদাকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে মধ্যম সারি ও মাঠ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, কেবল সরকারের দমননীতি নয়, বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা এবং সরকারের মনোভাব বুঝতে দেরি হওয়ার কারণেই মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে। তার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের আস্থায় আনতে হবে। বিএনপির কোনো কর্মী গ্রেফতার বা আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে শীর্ষ পর্যায়ের খবর নেন না। তাদের সহযোগিতা করেন না। মাঠ-পর্যায়ের কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। তারাই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।’

Logo-orginal