, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

টালমাটাল মালেশিয়ার রাজনীতি, পর্দার আড়ালে চলছে ক্ষমতার দাবা-খেলা

প্রকাশ: ২০২০-০২-২৫ ১৮:০৮:৩০ || আপডেট: ২০২০-০২-২৫ ১৮:০৮:৩০

Spread the love

আরটিএম নিউজ ডেস্কঃ ক্ষমতা বড়ই নির্মম, বন্ধুকে শত্রু আর শত্রুকে বন্ধু বানাতে মোটেই সময় ক্ষেপণ করেনা ক্ষ্মতা লোভিরা। গত নির্বাচনে মালেশিয়ার জনপ্রিয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহীমের সাথে জোট বেঁধে সফলতা পেয়ে কৃত ওয়াদা ভুলে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে মিঃ মাহাথির, অভিযোগ আনোয়ার ইব্রাহীমের সমর্থক এমপিদের ।

গতকাল সোমবার পদত্যাগ করে আবার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. মাহাথির মোহাম্মদ (৯৪) কতদিন থাকবেন তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

কবে নাগাদ একটি নতুন মন্ত্রীপরিষদ নিয়োগ দেয়া হবে তাও স্পষ্ট নয়। কবে নাগাদ পরবর্তী সরকার গঠন হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে সোমবার ড. মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করায় তার নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ওদিকে গত বছরের শেষ চতুর্ভাগে এক দশকের মধ্যে মালয়েশিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল একেবারে নিচে। এটর্নি জেনারেল টম্মি থমাস সাংবাদিকদের বলেছেন, একজন অন্তর্বর্তী নেতা কতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তার কোনো সীমাবদ্ধ সময়সীমা নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা আছে।

তিনি নিজের মতো করে একটি মন্ত্রীপরিষদ গঠন সহ যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এমন অবস্থায় মালয়েশিয়ার যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই কেমন যেন এক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, পদত্যাগের একদিন পরেই মঙ্গলবার কাজে যোগ দিয়েছেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তবে তার নামের আগে এখন যুক্ত হয়েছে নতুন পদবী অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী। সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করার পর দেশের রাজনীতিতে যেন ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে। এদিন শেষে তিনি পুরো মন্ত্রীপরিষদকে বাতিল করেন। পরে রাজার অনুরোধে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে রাজি হন। মঙ্গলবার তিনি পুত্রজয়ায় তার গাড়িতে করে উপস্থিত হন। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী এই নেতা এ সময় কোনো মন্তব্যই করেন নি।

নির্বাচনের আগে তিনি পুরনো শত্রু, নিজের প্রথমদিককার ক্ষমতার মেয়াদে উপপ্রধানমন্ত্রী থাকা আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন। সেই জোট ২০১৮ সালে দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণায় বিস্ময়করভাবে ক্ষমতায় আসে। তারপর থেকে এই জোট ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। ফলে জোট হয়ে পড়ে ভঙ্গুর। এরই মধ্যে পদত্যাগ করে বসেন মাহাথির। কিন্তু নির্বাচনের আগে আনোয়ার ইব্রাহিমকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতা অর্ধেক মেয়াদে তিনি থাকবেন, বাকিটা সময় প্রধানমন্ত্রী হবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

সপ্তাহান্তে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এ সময় অভিযোগ ওঠে যে, আনোয়ার ইব্রাহিমকে বাদ দিয়ে নতুন একটি জোট সরকার গঠনের জন্য মাহাথিরের মিত্ররা এর আগে ক্ষমতাসীন নাজিব রাজাকের দলের সঙ্গে জোট বাধার ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় কবে নাগাদ আনোয়ার ইব্রাহিমের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন মাহাথির তা জানতে চেয়ে জোর দাবি তোলেন আনোয়ার ইব্রাহিমের অনুগতরা। এতে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ হন মাহাথির।

ওদিকে রয়টার্স আরো বলছে, মালয়েশিয়ার সংবিধান বলছে, কোনো নেতা যদি দেখাতে পারেন যে তারা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ তাহলে তিনি সরকার গঠন করতে পারেন। তার আগে তাকে রাজার সম্মতি নিতে হয়। রাজা তাকে অনুমতি দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।

Logo-orginal