, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

শ্বাসরুদ্ধকর হতাশা শেষে স্বস্তি ফিরে পেল করোনাভাইরাস ভয়ে সমুদ্রে ভাসমান ১৫০০ যাত্রী

প্রকাশ: ২০২০-০২-১৫ ১২:০১:৩৮ || আপডেট: ২০২০-০২-১৫ ১২:০২:১৭

Spread the love

আরটিএম নিউজ ডেস্কঃ প্রায় দু’সপ্তাহ পর পর একটি বন্দরের সন্ধানের আশায় সমুদ্রে ভাসতে থাকা জাহাজটি ভ্রমণের ইতিহাস গড়ল।

১৫৪৪ জন যাত্রী নিয়ে হংকং এ ভিড়তে না পেরে একটু আশ্রয়ে সমুদ্রে ভাসমান এমএস ওয়েস্টারডাম জাহাজটি দীর্ঘদিন সমুদ্রে থাকার ইতিহাস গড়ল।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে সে জাহাজের করুন কাহিনী প্রকাশ করেছে আজ শনিবার।

দিনের পর দিন সাগরে ভেসে চলেছে জাহাজ। ঘুরে চলেছে এ-বন্দর থেকে সে-বন্দর। তুমুল দুশ্চিন্তায় ও বিরক্তিতে অস্থির হয়ে রয়েছেন দু’হাজারেরও বেশি যাত্রী। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না, দুশ্চিন্তা জাহাজের বাইরে আরও বেশি। কারণ ওই জাহাজের কোনও যাত্রীর থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা শোনা গেছিল। তাই পাঁচটি দেশের বন্দর ফিরিয়ে দেয় জাহাজটিকে। শেষমেশ কম্বোডিয়ার একটি বন্দরে নোঙর ফেলতে পেরেছে আমেরিকার জাহাজটি।

এমএস ওয়েস্টারডাম ক্রুজ জাহাজে আরোহীরা জানিয়েছে তারা একটি অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করেছিল।

এর আগে চীনের প্রাণঘাতী করোনার ভয়ে হংকং, জাপান, থাইল্যান্ড,ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়া কোন দেশ তাদের আশ্রয় দেয়নি।

ভয় আর চরম হতাশায় নিমজ্জিত জাহাজের আরোহী ও ক্রু’রা দিনযাপন সমুদ্রে ভাসতে থাকার এক অনন্য ইতিহাস গড়ল।

তবে সে অন্তুিম যাত্রা শেষ হল কম্বোডিয়ার আশ্রয়ে।

‘দ্য ওডিসি অব দ্য এমএস ওয়েস্টারড্যাম’ নামের জাহাজটি  গত ১ ফেব্রুয়ারি হংকং থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ১,৪৫৫ জন যাত্রী এবং ৮০২ জন ক্রু ছিল জাহাজে। কয়েক দিন সাগরে প্রমোদ বিহার করার পরে ফিলিপিন্সে যাত্রা শেষ করার কথা ছিল জাহাজটির। কিন্তু হংকং থেকে আসা জাহাজটিকে তাদের দেশের বন্দরে নোঙর করতে দেয়নি ফিলিপিন্স। জাহাজের যাত্রীরা করোনাভাইরাস বহন করতে পারে বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এর পরে বিশাল সে প্রমোদতরী পৌঁছয় গুয়ামে। সেখানেও একই কথা শুনতে হয়। এর পরে একে একে তাইওয়ান ও তার পরে জাপানের বন্দরে জাহাজ ভেড়ানোর চেষ্টা করা হয়। অনুমতি মেলেনি। শেষমেশ গত বুধবার থাইল্যান্ডের বন্দরে গিয়ে শেষ চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি। এদিকে একের পর এক দিন পেরিয়ে যাওয়ায় জাহাজটির খাবার এবং জ্বালানি শেষ হয়ে আসছিল ক্রমে।

থাইল্যান্ডেরই নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ওয়েস্ট্যারড্যাম জাহাজটিকে এসকর্ট করে নিয়ে যায় এবং থাই উপসাগরে দিয়ে আসে। সেখান থেকে দিক বদল করে কাম্বোডিয়ার দিকে চলে যায় জাহাজটি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে কম্বোডিয়ার সিহানুকভিল বন্দরে নোঙর করে জাহাজটি।

জাহাজটিকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য কম্বোডিয়ার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।

জাহাজের ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট স্মিথ জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সিহানুকভিলের বাইরে নোঙর করা হয়েছে, যাতে কম্বোডিয়া সরকারের তরফে আগে জাহাজটির যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। কম্বোডিয়ার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা জাহাজের যাত্রীদের সাহায্য করতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

Logo-orginal