, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

করোনা থেকে বাঁচতে আল্লাহকে ডাকতে এবং নামাজ পড়তে বললেন মাশরাফি (ভিডিও)

প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৪ ১৭:৪৫:৩২ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৪ ১৭:৪৮:০৪

Spread the love

বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও থাবা বসিয়েছে এই সংক্রমণ। মারা গেছেন তিনজন। আক্রান্ত ৩৩ জন। দিন দিন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ সংকটময় পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে আল্লাহকে ডাকতে এবং নামাজ পড়তে বললেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। করোনা প্রতিরোধে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিনিট পাঁচেকের ভিডিওতে মাশরাফি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। না হওয়ারও কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর বড় দেশগুলোও বিপর্যস্ত। কোনোভাবেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে পেরে উঠছে না তারা। সেখানকার মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। যত শক্তিশালীই হোক না কেন, বড় দেশগুলো ভেঙে পড়ছে। এখন আমাদের কি করণীয় উচিত। এ দেশ এমনিতেই ছোট। তবে জনগণ অনেক। আমাদেরও ক্রাইসিস আসতে পারে। কিন্তু আল্লাহ না করুক এসব হোক। কি হতে পারে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। তাই এ মুহূর্তে আমাদের করণীয় অনেক কিছু আছে। আমি মনে করি, এগুলো সবারই করা উচিত।

তিনি বলেন, এক হচ্ছে ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া এবং আল্লাহকে বলা, আমাদের ওপর রহমত বর্ষিত করুন। এ ধরনের দুর্যোগ থেকে মুক্তি দেন। সবাই যেন সুস্থ থাকি। দ্বিতীয়ত অনেক প্রবাসী ভাই ও বোন বিদেশে থাকেন, কেউ বেড়াতে গিয়েছিলেন, অনেকেই দেশে এসেছেন। তাদের উদ্দেশে বলছি– আপনাদের অনেক কিছু করার আছে। প্রথম হচ্ছে– অবশ্যই নিয়মকানুন মেনে চলুন। আমি ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। বলব, গৃহবন্দি থাকুন। তবে সেটা পরিবার নিয়ে নয়। আপনি ১৪ দিন আলাদা থাকুন। এর পর যদি অসুস্থ না হোন, তখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘরে থাকুন।

নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, যতক্ষণ না চিকিৎসকরা বা সমাজের উচ্চপদস্থরা ঘোষণা করছেন, আমরা নিরাপদ; ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে থাকুন। এটি হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ। এর পরও আমাদের করণীয় আছে। সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া, ১৫-২০ মিনিট পর পর পানি পান করা এবং ঘর ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। আমাদের এসব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

ম্যাশ বলেন, এর থেকে কঠিন অবস্থায় যাওয়ার পর সেসব মেনে চললে কাজ হবে না। আমাদের উচিত– এখনই বিষয়টি শক্ত হাতে প্রতিহত করা। কারণ এটি রাষ্ট্র সংকট হয়ে যেতে পারে। আমরা কেউই জানি না, আমাদের আশপাশে কার আছে। আমরা বের হচ্ছি, অন্যের হাত ধরছি। অথচ কেউই জানি না, এ ভাইরাসটি কে বহন করে চলছে। কারণ এটি ১৪ দিন সময় নেয় বোঝার জন্য। তাই আমার মনে হয়, এ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। আমরা যে এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না, এটা যদি আমাকে, আপনাকে, আমাদের পরিবারকে কিংবা সামাজিকভাবে কাউকে আঘাত করে; তখন কিন্তু সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। আগেই বলেছি ইতালির মতো বড় দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সো, আমরা কতটুকু পারব, সেটা ভাবার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের করণীয় জিনিসগুলা আমরা করি। এটা করা খুবই প্রয়োজন। একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার ঘরের ক্যাপ্টেন আপনি নিজেই। আপনি যদি ঘরের ক্যাপ্টেন্সি ঠিকমতো করতে পারেন, আমি নিশ্চিত, এর প্রকোপ কিছুটা হলেও কমাতে পারব। সর্বোপরি দুর্যোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা দয়া করে ঘরে থাকুন। প্লিজ প্লিজ প্লিজ। আপনি নিজে থাকুন, আপনার পরিবারকে, সমাজকে সুরক্ষিত রাখুন। এটা আপনার আমার সবার দায়িত্ব। এ মুহূর্তে বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। আমরা অনেক সময় বলি, পরিবারকে সময় দিতে পারি না, কাজের ব্যস্ততার কারণে। আপনি এখন সময় দেন। তবে সেটি দূরত্ব বজায় রেখে। জরুরি কাজে বাইরে বের হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সূত্রঃ যুগান্তর ।

Logo-orginal