jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৭ ০৮:১৬:৩৭ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৭ ০৮:১৬:৩৭
শহর আর গ্রাম সব জায়গায় রাত ১০টায় আজানের ধ্বনিতে কম্পিত হলো আরেকবার। রাতে এশার নামাজে আজান মসজিদে দেওয়া হলেও রাতের এ আজান দেওয়া হল করোনা মহামারি থেকে ‘মুক্তি’র আশায়। এ আজান মসজিদে সীমাবদ্ধ ছিল না। ঘরের আঙ্গিনায় অনেক পরিবারের কর্তাব্যক্তিরাও আজান দিয়েছেন। নগর ও গ্রামের অনেক জায়গাতেই আজান দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা, পশ্চিম মাদারবাড়ি, মোগলটুলী, কাটা বটগাছ এলাকা, আগ্রাবাদ, হাজীপাড়া, চৌহমুনী ও কর্ণফুলীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাত ১০টায় এ ধরনের আজান শোনা গেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মুখপাত্র মোছাহেব উদ্দিন বকতিয়ার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আযান দেওয়া ভালো। বলা মসিবত থেকে রক্ষার জন্য ইসলামে আজান দেওয়ার বিধান রয়েছে।’
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘আজকে রাতে সব জায়গায় আজান হয়েছে আমিও শুনেছি। সেটি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল না। এটি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’
জানা গেছে, পুরো আয়োজনটিই ফেসবুকনির্ভর। অজ্ঞাত উৎস থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে এটি ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কয়েকজন নেতা রাত ১০টায় একযোগে আজানের প্রস্তাব করলে ফেসবুকের মাধ্যমে এটি অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে এই আজান। তবে এতে কোনো ইসলামী দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না।
তবে ইসলামী ছাত্রসেনার পক্ষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো মাছুমুর রশিদ কাদেরী কর্মসূচিটি তাদের নিজেদের দাবি করে বলেন, ‘এটি মূলত আামাদের দলীয় কর্মসূচি। পরে তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সবাই সমর্থন করেছেন। করোনা থেকে মুক্তি পেতে রাত দশটায় একযোগে আযান কর্মসূচি পালন করেন।’
উৎসঃ চট্টগ্রাম প্রতিদিন ।