, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

খালেদা জিয়ার মুক্তির অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা

প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৫ ১৪:০৩:৪৫ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৫ ১৪:০৩:৪৫

Spread the love

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা। ঢাকাসহ সারাদেশেই নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির প্রহর গুণছেন। গত দু’দিন ধরে নেতা-কর্মীরা রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষা করছেন।

কেবিন ব্লকের সামনের ফটকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের পাশাপাশি ফটকের ভেতরে-বাইরে অপেক্ষায় গণমাধ্যমের কর্মীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।

জানা গেছে, বিএনপি প্রধানের মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিকালেই মুক্তি পাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বেশকিছু নেতাকর্মীকে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
এদিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেগম জিয়ার গুলশান এভিনিউয়ে ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ডুপ্লেক্স ‘ফিরোজা’ বাসভবনটিও। এতদিন ছিল নিঃসঙ্গ, সুনশান নিরবতা। সেই নিরবতাও ভাঙতে যাচ্ছে বেগম জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে। এখন ভবনটির ধোয়া মোছার কাজ শেষ হয়েছে। ওই বাড়ির গ্যাস ও টেলিফোন লাইন এখনও কাটা। রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে পানির লাইন ঠিক হয়েছে। ছাদে পানির ট্যাংকও পরিষ্কার করা হয়েছে।

‘ফিরোজা’ থেকে ২৫ মাস আগে দুর্নীতি মামলার রায় শুনতে আদালতে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় কারাগারে। সরকার তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর সেই ফিরোজা আবারও প্রস্তুত করা হয়।

‘ফিরোজা’র দায়িত্ব পালনরত একজন নিরাপত্তা সদস্য জানান, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বরণ করতে আমরা প্রস্তুত। বাসার প্রতিটি কক্ষ ধোয়া-মোছা করা হয়েছে। দোতলায় তার বেড রুম, রিডিং রুম ও ছোট ড্রইং রুম এবং নিচের বড় ড্রইং রুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। বাসার দোতলার প্রবেশপথে ফুলে টব রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুযারি সকালে খালেদা জিয়া এই বাসা থেকে বের হওয়ার সময় যেভাবে সিঁড়ির সামনে টব রাখা ছিল, ঠিক সেভাবে তা রাখা হয়েছে।

বাসা নতুন করে গুছানোর বিষয়টি তদারক করছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। এতদিন তারাই এ বাড়ির দেখাশোনা করেছেন।

খালেদা জিয়ার সেঝ বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, মুক্তির পর উনি ফিরোজাতেই উঠবেন। সেভাবে সব কিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা এখন তার মুক্তির অপেক্ষায় আছি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা দলের চেয়ারপারসনের থাকার জন্য গুলশানের বাসভবনকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছি। দীর্ঘ দুই বছর এই বাসা একেবারে বন্ধ ছিল। তবে ম্যাডাম বাসায় উঠবেন না হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন সেটা নির্ভর করছে উনার সিদ্ধান্তের ওপর। মুক্তির পর উনার সঙ্গে আলাপ করেই এটা ঠিক করা হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিএমএর সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সব কিছু করা হয়েছে ফিরোজায়। উনি বাসায় আসার পর তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হবে। উনাকে যারা দেখতেন, সকল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আমরা ইনভাইট করেছি। তারা আসার পর একটি সম্মিলিত মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গত দুই বছরে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সন্তানরা দুই দফা দেশে এসে ফিরোজায় উঠেছিলেন। বাকি সময় বাড়িটি খালিই ছিল। উৎসঃ বিডি-প্রতিদিন।

Logo-orginal