, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Ismail hossain Ismail hossain

রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রিজের মাছ-মাংস নিয়ে গুজব

প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৬ ১৯:৪৮:০২ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৬ ১৯:৪৮:০২

Spread the love

ইসমাঈল হোসেন নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিয়ে সারা দেশের মতো উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ। ঠিক সে সময়ে বাড়ির ফ্রিজে মাছ মাংস আছে প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে, ফ্রিজ ভেঙে দিচ্ছে এমন ‘গুজব’ ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে একটি গ্রুপ। এমন গুজব মহিলাদের মাঝে বেশি ছড়িয়ে পড়ায় বেশকিছু পরিবারের মহিলারা আগে থেকে ফ্রিজে সংরক্ষণ রাখা মাছ মাংস সরিয়ে ফেলেছেন। সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর সেনাবাহিনীও ঘরে ঘরে তল্লাসী করছে বলে গুজব উঠেছে।

ফ্রিজে মাছ-মাংস পেলে জরিমানা করছে এমন গুজবে কেউ কেউ দ্রুত ফ্রিজের মাছ মাংস বের করে রান্না করেছেন। কেউ বা মাছ-মাংস আত্মীয়-স্বজনদের দিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে গুজবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন কাণ্ড ঘটার খবর পাওয়া গেছে।

অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়ে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে ‘গুজবে’ কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাসায় পুলিশ গিয়ে ফ্রিজ চেক করছে বিষয়টি নিতান্তই গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম। তারা গুজব সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন হওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

হোছনাবাদ ইউনিয়নের আবদুর রহিম জানান, আমাদের পাশের এলাকা থেকে খবর এলো ফ্রিজে মাছ মাংস চেক করছে পুলিশ । কিছু থাকলে নাকি জরিমানা করে দিচ্ছে, ফ্রিজ ভাংচুর চালাচ্ছে। তখন বাসায় লোকজনকে বলেছিলাম পাড়ার কেউ ফ্রিজ থেকে মাছ মাংস বের করে না রাখলে আমার বাসায় দিয়ে যাওয়ার জন্য। গত বুধবার শুনেছি অনেকে মাছ মাংস জরিমানার ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এগুলো একধরনের খারাপ লোক সমাজে রয়েছে, তাঁরা এসব গুজব ছড়ায়।

উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের তৌহিদুল ইসলাম জানান, শুনেছি পুলিশ এসে ফ্রিজ ভাংচুর করছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে এমন গুজবে আমার বাড়ির ফ্রিজে থাকা সব মাছ মাংস বের করে রান্না করা হয়েছে।পরে দেখলাম এগুলি গুজব ছড়ানো হয়েছে।

ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ কর্তৃক কোন নাগরিকের বাড়ীতে ফ্রিজ তল্লাশির তথ্য সঠিক নয়। এই সংক্রান্তে কোন তথ্য পাওয়া গেলে থানা পুলিশকে অবগত করার জন্য জন সাধারণকে অনুরোধ করেছি। গুজব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছি। এসব গুজবে জনসাধারণকে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এই ধরনের ঘটনার প্রশ্নই আসে না। এটা স্রেফ গুজব। আমি সাধারণ জনগনকে এই গুজবে আতংকিত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। যারা এ পরিস্থিতিতে এই ধরণের গুজব ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Logo-orginal