admin
প্রকাশ: ২০২০-০৪-২৭ ১৬:৩২:৪৭ || আপডেট: ২০২০-০৪-২৭ ১৬:৩২:৪৮
দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য একটি কিট তৈরির ঘোষণা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, সরকারের ঔষধ প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ সহযোগিতা করছে না। এ বিষয়ে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)।
এতে বক্তব্য রাখেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন না মানায় গণস্বাস্থ্যের অনুষ্ঠানে যায়নি ঔষধ প্রশাসন।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কোনো দেশেই র্যাপিড টেস্ট কিটের অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার পরও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিট উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হয়েছে- এটা ভেবে যে, এখন না হোক ভবিষ্যতে হয়তো এটি দেশের স্বার্থে কাজে লাগবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে ঘুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে- সে বিষয়ে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ড. জাফরউল্লাহ (গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা) অনৈতিক কথা বলেছেন। উনি একজন বয়োঃবৃদ্ধ মানুষ, উনার কাছে এ ধরনের কথা আশা করা যায় না।
ঔষধ প্রশাসনের ডিজি বলেন, কিটের উদ্ভাবক ডা. বিজন দাবি করেছেন, ঔষধ প্রশাসন কখনো ঘুষের বিষয়টি তোলেনি, অথচ ডা. জাফরউল্লাহ ঘুষের কথা বলেছেন। এ ধরনের বক্তব্য মানা যায় না।
এ সময় ডা. বিজন কুমারের বক্তব্য নিয়ে একটি অনলাইন গণমাধ্যমের করা প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, কিট উৎপাদনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সক্ষমতা নেই- সরকার সেটা বলছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নিয়ম-কানুন মেনে কাজ করে সফল হলে সরকার তাদের স্বাগত জানাবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খানও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।