jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০২০-০৪-০৯ ১৯:৩৯:৪১ || আপডেট: ২০২০-০৪-০৯ ১৯:৩৯:৪১
কুয়েত সিটি: উপ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ শ্রম নিয়োগ আইন লঙ্ঘনকারী কোম্পানির উপর গত তিন বছরে ইমিগ্রেশন তদন্ত ইউনিটের পরিচালিত পরিসংখ্যান প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
আবাসিক বিষয়ক জেনারেল ডিপার্টমেন্টের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে আল-সেয়াসাহ সুত্রে আরব টাইমস জানিয়েছে, আগে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, এমন সব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যদিও এই সকল কোম্পানি ফাইল বদল করে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে ফাইল সরিয়ে নিয়েছিল ।
উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ দৈনিকের কাছে একান্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কিছু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় দেড় শতাধিক বিদেশী শ্রমিক ছিল, কিন্তু দু’বছর পরে, এই শ্রমিকরা নতুন মালিকের অধীনে কাজ শুরু করে ।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, শ্রমিকদের নাম পুরানো স্পনসরশিপ ফাইল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এই শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া কোম্পানিগুলি নতুন শ্রমশক্তি নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল।
সে আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্ণালয়ের উপ-সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসাম আল-নিহাম রেসিডেন্সি বিষয়ক জেনারেল বিভাগের সদস্যদের নিয়ে একটি তদন্ত দল গঠন করেছিলেন।
জনশক্তি কর্তৃপক্ষের (পিএএম) সাথে সমন্বয় করে দলটিকে সমস্ত কোম্পানির কাজের ধরণ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগের একটি তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ।
আইনী প্রক্রিয়া এবং করোনভাইরাস সঙ্কট শেষ হওয়ার পরে, শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী এই সকল কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং পিএএম যৌথ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী আল সালেহ ।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কুয়েতে দেখা দেওয়ার পরে থেকে ভিসা ব্যবসায়ী, মানবপাচারসহ শ্রমিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে দেশটির সাংসদরা ।