, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

মধ্যপ্রাচ্যে থেকে দেশে টাকা প্রেরণ ৪০ – ৩০ শতাংশে নেমে গেছে

প্রকাশ: ২০২০-০৪-০৮ ২৩:৩১:৩০ || আপডেট: ২০২০-০৪-০৮ ২৩:৪৫:৩৫

Spread the love

আবুল কাশেম, (প্রবাসী কলামিস্ট)ঃ রাষ্ট্র থেকে সমাজ, প্রেসিডেন্ট থেকে মেম্বার, ধনী থেকে শ্রমিক, বিশ্বের সবখানে হাহাকার, করোনাভাইরাস আঘাত হানে নাই কোথায় ? সহজ উত্তর- সবখানে, বাদ পড়েনি খেটে খাওয়া দেশ প্রমিক রেমিটেন্স যোদ্ধারা ।

সে করোনার থাবায় দেশে টাকা প্রেরণে পিছিয়ে পড়েছে প্রবাসীরা। আমিরাত, সৌদি, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যর সব দেশ থেকে দেশে টাকা প্রেরণ অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ার কারণ প্রাণঘাতী করোনা ।

গত কদিনে মধ্যপ্রাচ্যের সব কটি মানি এক্সচেঞ্জে প্রবাসী নেই বললেই চলে, দুবাইয়ের প্রসিদ্ধ মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানী আল আনসারীর একজন বাংলাদেশী কর্মকর্তা আরটিএমকে জানান, তার দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনে এমন করুন অবস্থা দেখেননি, তিনি বলেন, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তানীসহ সব দেশে টাকা প্রেরণের হার ৫০ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে ।

এমন চিত্র বিদেশে কর্মরত বাংলদেশীদের জীবনে অশনি সংকেত হিসেবেও বর্ণনা করেছেন বিশেষজ্ঞ্ররা, সামনে রমজান কি পাঠাবে দেশে, এমন চিন্তায় আছে অনেক প্রবাসী ।

আবুদাবীর একজন প্রবাসী, যার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে, তিনি বলেছেন করোনার প্রভাব যেভাবে পড়া শুরু হয়েছে, তা যদি আগামী ২/৩ মাস চলতে থাকে, ফকির হয়ে যাওয়া ছাড়া কোন পথ হয়ত থাকবেনা, তবে এই ব্যবসায়ী আল্লাহ,র উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়ে বললেন, আশা করি মে মাসের শেষের দিকে রাব্বুল আলেমিন আমাদের মুক্তি দিবেন ।

অন্যদিকে, এই অবস্থা আগামী মে ও জুন পর্যন্ত থাকতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে দেশের নামকরা অর্থনীতিবিদ দেব প্রিয় ভট্টাচার্য্য ।

তবে ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায় কম বেতনে চাকুরীতে থাকা বাংলাদেশীরা, যাদের অধিকাংশ কাজ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা, হাসপাতাল, বা বিভিন্ন মার্কেটে ।

এইসব প্রবাসীদেরকে অনেক কোম্পানি দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে শ্রমিকের বেতন দিচ্ছেনা, কিন্ত কোম্পানি গুলো তাদের সাথে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী মাসের শেষে ঠিকই টাকা পাচ্ছে, এরপরও বেতন দিচ্ছেনা ।

Logo-orginal