, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সব শেষ, চার দিকে সর্বনাশ হয়েছেঃ মমতা

প্রকাশ: ২০২০-০৫-২১ ১২:৩৩:১৫ || আপডেট: ২০২০-০৫-২১ ১২:৩৩:১৬

Spread the love

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়িঘর, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, ক্ষেত ভেসে গেছে। উৎকণ্ঠা নিয়ে এসব তথ্য জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যে অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন মমতা সাংবাদিকদের বলেন, আম্ফানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে। কত যে বাড়ি, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, খেত থেকে সব সর্বনাশ হয়ে গেছে, সেই সংখ্যাটা এখনই বলা যাবে না। ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বনগাঁ-হাবড়ায় এখনও তাণ্ডব চলছে। ধ্বংসের পুরো চিত্র বুঝতে ১০-১২ দিন লেগে যাবে। এক দিনে কিছু হবে না।

মমতা বলেন, পাথরপ্রতিমা, নামাখানা, বাসন্তী কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় সব ধ্বংস হয়েছে। আফটার শক তো থাকেই, ফলে এখনই সব মিটছে না। চলবে এটা মাঝরাত পর্যন্ত। কেন্দ্রের কাছে আবেদন থাকবে, পলিটিক্যালি দেখবেন না, মানবিক ভাবে দেখুন।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, পুকুর, চাষের জমি সব শেষ। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি, রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়া- সব সব, চার দিকে সর্বনাশ হয়েছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টা নাগাদ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সারাদিনই নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ঝড়ের গতিপ্রকৃতির খোঁজখবর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর এসেছে তা ভয়াবহ। খারাপ খবর উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য পেতে ৩-৪ দিন লেগে যাবে বলে জানান তিনি।

হাওড়ায় ঘরের টিন এসে মাথায় আঘাত করলে হাওড়ায় ১৩ বছরের কিশোরী মারা গেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার মিনাখাঁয় এক নারী গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটেও এক যুবক গাছে চাপা পড়ে মারা গেছে।

গত ৫০ বছরে কলকাতার মানুষ এ ধরনের ঝড় দেখেনি। আম্পানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কলকাতা শহর। ইতিমধ্যে কলকাতাজুড়ে শত শত গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা শহর। গাছ ভেঙে পড়েছে অলিতে গলিতে। সুত্রঃ আনন্দবাজার ।

Logo-orginal