admin
প্রকাশ: ২০২০-০৫-২২ ১৩:২৭:০২ || আপডেট: ২০২০-০৫-২২ ১৩:৪৭:২০
করোনা সারাবিশ্বকে বদলে দিয়েছে। আমাদের চোখের সামনে এনে দিয়েছে অনেক মর্মান্তিক দৃশ্য, মর্মান্তিক গল্প, বেদনাময় অধ্যায়। চট্টগ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। তার ৭ বছরের সন্তান এসে বাবাকে শেষবারের মতো স্পর্শ করলো। নীরব অথচ বুকে জমে যাওয়া গভীর কান্না যেন উছলে বের হয়ে আসে- এমন দৃশ্য দেখে। চিকিৎসক বিদ্যুৎ বড়ুয়া এমনই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
যার নিচে লিখেছেন, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে বেদনাবিধুর বাস্তবতা। গত ২০ মে ৪০ বছরের রোগী জীবনের শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছিল আমাদের চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে। রোগীকে প্রথম দেখায় বুঝতে পেরেছিলাম জীবনের সময় বেশি নেই। তবু চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সামর্থ নিয়ে রোগীকে বাঁচাতে। রোগীর অভিভাবকও বুঝতে পেরেছিল রোগীর পরিণতি। করোনা টেস্ট হয়নি কিন্তু সকল লক্ষণ করোনা ভাইরাস জনিত। অবশেষে মারাও গেলেন ১৩.৩০ ঘণ্টা পর।
রোগীর অভিভাবক হিসেবে সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করতেই বললো তাদের ৭ বছরের সন্তান আছে। সাধারণত করোনা জনিত লক্ষণে মারা গেলে সিভিল সার্জন অফিসে জানাতে হয়। পরে সিভিল সার্জন নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত দাফন করা হয়। কিন্তু আত্মীয় স্বজন কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখার সুযোগ হয় না। আমি মৃত রোগীর অভিভাবক স্ত্রীকে বললাম আপনাদের সন্তানকে তার বাবাকে দেখবে না? উত্তরে বললো বাসায় কেউ নাই আর কিভাবে আসবে। পরে সিভিল সার্জন কতৃপক্ষ নিয়ে গেলে সন্তান বাবাকে দেখতে পারবে না।
আমি বললাম আপনি বাসায় গিয়ে আপনাদের সন্তানকে নিয়ে আসেন আমাদের হাসপাতালের গাড়ি নিয়ে। তাই হলো মা সন্তানকে আমাদের গাড়িতে করে নিয়ে আসলো। সন্তান বাবা কে তার শেষ স্পর্শ আদর দেওয়ার মুহূর্ত – ( তাদের সন্তান এর সাথে আলাপে তার বাবা সন্তানের অনেক কিছু জানা হলো – কষ্ট হলো অনেক ৭ বছরের সন্তান তার বাবা কে হারালো ) সুত্রঃ কালের কন্ঠ ।
চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে বেদনাবিধুর বাস্তবতা -সন্তানের শেষ আদর বাবাকে —–গত ২০ মে ২০২০ – ৪০ বছরের রোগী জীবনের শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছিল আমাদের চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে। রোগীকে প্রথম দেখায় বুঝতে পেরেছিলাম জীবনের সময় বেশি নেই। তবু চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সামর্থ নিয়ে রোগীকে বাঁচাতে।রোগীর অভিভাবকও বুঝতে পেরেছিল রোগীর পরিণতি। করোনা টেস্ট হয়নি কিন্তু সকল লক্ষণ করোনা ভাইরাস জনিত। অবশেষে মারাও গেলেন ১৩.৩০ ঘন্টা পর। রোগীর অভিভাবক হিসেবে সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করতেই বললো তাদের ৭ বছরের সন্তান আছে। সাধারণত করোনা জনিত লক্ষনে মারা গেলে সিভিল সার্জন অফিসে জানাতে হয়। পরে সিভিল সার্জন নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত দাফন করা হয়। কিন্তু আত্মীয় স্বজন কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখার সুযোগ হয় না। আমি মৃত রোগীর অভিভাবক স্ত্রীকে বললাম আপনাদের সন্তানকে তার বাবাকে দেখবে না ? উত্তরে বললো বাসায় কেউ নাই আর কিভাবে আসবে। পরে সিভিল সার্জন কতৃপক্ষ নিয়ে গেলে সন্তান বাবাকে দেখতে পারবে না। আমি বললাম আপনি বাসায় গিয়ে আপনাদের সন্তানকে নিয়ে আসেন আমাদের হাসপাতালের গাড়ি নিয়ে। তাই হলো মা সন্তানকে আমাদের গাড়িতে করে নিয়ে আসলো। সন্তান বাবা কে তার শেষ স্পর্শ আদর দেওয়ার মুহূর্ত – ( তাদের সন্তান এর সাথে আলাপে তার বাবা সন্তানের অনেক কিছু জানা হলো – কষ্ট হলো অনেক ৭ বছরের সন্তান তার বাবা কে হারালো ) –
Posted by Dr. Bidduth Barua on Thursday, 21 May 2020