, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

লিবিয়ার জেনারেল হাফতার বাহিনীকে কঠোর হুঁশিয়ারী তুরস্কের

প্রকাশ: ২০২০-০৫-১১ ১৩:০৬:১০ || আপডেট: ২০২০-০৫-১১ ১৩:০৬:১২

Spread the love

লিবিয়ার বহুল আলোচিত জেনারেল হাফতার বাহিনীকে হুঁশিয়ার করেছে তুরস্ক। বলেছে, লিবিয়ার তুরস্কের স্বার্থ ও কূটনৈতিক মিশনের ওপর যদি ওই বাহিনী হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে হাফতার বাহিনীকে টার্গেট করবে তুরস্ক। অর্থাৎ হাফতার বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাবে তারা। রোববার এ সতর্কতা দিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল আরাবিয়া। এতে বলা হয়, লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত ফায়েজ আল সরাজ নেতৃত্বাধীন গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একর্ড বা জিএনএ সরকারকে সমর্থন করে তুরস্ক। এই সঙ্গে হাফতারের বাহিনীকে তারা দেখে ‘পুটশিটস’ হিসেবে। পুটশিটস ওই বাহিনীকে আখ্যায়িত করা যায়, যাদেরকে শক্তি প্রয়োগ করে হটিয়ে দেয়া হয়।

রোববারের দেয়া বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যদি লিবিয়ায় আমাদের মিশন ও স্বার্থে হামলা চালানো হয়, তাহলে আমরা হাফতার বাহিনীকে বৈধ টার্গেট হিসেবে দেখবো। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের বিক্ষোভের পর থেকেই উত্তর আফ্রিকার এই দেশ লিবিয়া টালমাটাল। ওই বিক্ষোভের ফলেই ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত হন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। পরে তাকে হত্যা করা হয়। এ দেশটিতে আল সরাজ সরকার মূলত টিকে আছেন মিলিশিয়াদের ওপর ভর করে। এর মধ্যে রযেছে কট্টরপন্থি, উগ্রপন্থি বিভিন্ন গ্রুপ। এসব ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরে অথবা আগে সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রমতে, লিবিয়ায় যুদ্ধ করার জন্য সিরিয়ায় সমমনাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে তুরস্ক। এসব সিরিয়ানের রয়েছে তুরস্কের নাগরিকত্ব। তারাই লিবিয়ায় উগ্রপন্থিদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমন চারটি গ্রুপকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তুরস্ক। এর প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৩৫ জন করে কট্টরপন্থি। তাদের কারো কারো রয়েছে যুদ্ধের খুব বেশি অভিজ্ঞতা। কারণ, তারা তুরস্কের সেনাবাহিনীর সাথে সিরিয়ায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। অন্যরা তুরস্কের ভিতর সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে। সূত্র বলেছে, লিবিয়ার ভিতরে তুরস্কের সেনাদের অবস্থান নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে তুরস্ক ও জিএনএ সরকারের মধ্যে। এর অধীনে লিবিয়ায় উপস্থিত তুর্কি সেনাবাহিনীর সব ব্যয়ভার বহন করবে জিএনএ। জাতিসংঘের মতে, জিএনএ’র প্রতি অনুগতদের কাছে এরই মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ দিয়েছে তুরস্ক। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাংক ও ড্রোন।

ওদিকে লিবিয়ার পূর্বভাগে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলেছেন জেনারেল হাফতার। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তার বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলিকে জিএনএ সরকারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে হামলা চালায়। ২৮ শে এপ্রিল হাফতার বলেছেন, দেশ শাসনের মতো জনপ্রিয় ম্যান্ডেট আছে তার। শুক্রবার তার নেতৃত্বাধীন এলএনএ বলেছে, তারা রাজধানীর দক্ষিণ পশ্চিমে আল ওয়াতিয়া বিমানঘাঁটিতে তুরস্কের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সুত্রঃ মানবজমিন ।

Logo-orginal