, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সিন্ডিকেট দেশের জন্য একটি ব্যাধি

প্রকাশ: ২০২০-০৬-২৯ ১৫:১৩:২৯ || আপডেট: ২০২০-০৬-২৯ ১৫:১৩:৩১

Spread the love

কায়সার সিকদার, চট্টগ্রামঃ গেলো গেলো দেশটা একেবারে রসাতলে গেলো-পত্রিকায় একেকটা নেতিবাচক খবর পড়ে এমনিই মন্তব্য করে বসল একজন শিক্ষক। দেশকে নিয়ে ভাবার সময় হয় না কর্তাদের। কীভাবে রসে ভেসে খাবে তাতেই মগ্ন।

সিন্ডিকেট দেশে মারাত্মক ব্যাধি ধারন করেছে।যখন শুনি,এই ব্যাধি বা রোগের ভাইরাস দেশের বড় বড় কর্তারা।তখন চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। সময়ের স্রোতে যাদের সুক্ষতায় পৃথিবীর দরবারে বাংলাদেশের স্থান হওয়ার কথা আজ তাদের হাতে রসাতলে দেশ, তাহলেতো চোখ কপালেই ওঠবে।
দেশে যেসব দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাই তা সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাই।এই যেমন কয়েকমাস আগে পিঁয়াজ বাজার। ভারত রপ্তানি বন্ধ করাতে দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা তা সিন্ডিকেট করে ২০টাকার পিয়াজ ২০০ করে ছাড়ল।তখনই প্রশাসনের টনক নড়ল যখন পিঁয়াজের বাজার নাগালের বাইরে চলে গেলো।সিন্ডিকেটের হাতে আমদানি ভার দিয়ে সরকার জনগণের কাছে ভাইরাসটা দক্ষিণা হওয়ার মতো পৌঁছে দিলো।

রবি,খাতুন গঞ্জের একজন ব্যবসায়ী।তার মুখ থেকে শুনা~বড় বড় কর্মকর্তাদের সহয়তায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পিঁয়াজের বাজার জনগণের নাগালের বাইরে করে ছাড়ল।তারা মায়ানমার, আরব দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানি করে দেশে সরবরাহ দিত কম।ফলে পিঁয়াজের বাজার হু হু করে বেড়ে গেলো।এমনকি তারা পঁচে যাওয়া পিঁয়াজ কর্ণফুলী নদীতে ফেলেছে কিন্তু সরবরাহ দেয়নি।

শুধু কি পিঁয়াজ!? বর্তমানে দেশে চলতেছে মহামারী। এই মহামারীর দিনে সিন্ডিকেটকারীরা বসে নেই। অথচ এই সময়ে দেশের বা জনগণের কাছে থাকার কথা।কিন্তু দেশের এসব ব্যবসায়ীরা নিজেদের ধারা বজায় রেখে অক্সিজেন সিলিন্ডার সিন্ডিকেট করে তার দাম বাড়ায় দিলো।যে সিলিন্ডার ১২ হাজার টাকা ছিলো সে সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকায়।ফলে চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় শহরে শতলোকের প্রাণ শেষ হয়ে গেলো।
মহামারীর শুরুর দিকের কথা,একটি মাস্কের দাম ৫ টাকা থেকে বেড়ে শত টাকার কোটায়।হ্যান্ড স্যানিটাইজার,হ্যান্ড গ্লাভস বলতে গেলে সব সুরক্ষা সমগ্রী কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাই।অথচ অনেক মহলের খবর সিন্ডিকেট করে এরকম অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল দেশের অসাধু ব্যবসায়ী।

চট্রগ্রামসহ দেশের প্রায় শহরের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে কিট সংকট। অনেক শহরেতো কিটের অভাবে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। চট্রগ্রামের বিআইটিতে কাল ভেটানারি থেকে কিট এনে পরীক্ষা করেছে।আর ভেটানারিতে যা কিট আছে, তা দিয়ে ৩দিন পরীক্ষা করা যাবে।গতকাল ২৮শে জুন রবিবারের খবর। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ফেইসবুক লাইবে এসে কিট সিন্ডিকেটের কথা বলেছে।কিন্তু সরকার তা কানেই নেইনি বলে মনে হচ্ছে। তার ভাষ্যমতে কিট আমদানি করে কিট সিন্ডিকেট করে মজুদ করতেছে।যার হাত ধরে কোটি কোটি টাকা মুনাফা গুণতে পারে।অথচ আমদানীকারী থেকে কিট কিনে হাসপাতালে সরবারাহ দিচ্ছে সরকার।চাইলে সরকার নিজেই কিট আমদানি করে জনগণের কোটি কোটি টাকা বাঁচাতেও আর কিট সংকটেও পরত না দেশ।
মানুষ নৃশংস হয়ে যায়, কারণ তারা ক্ষমতার চরিত্রকে কপি করে ক্ষমতায়িত হতে চায়, কোনো বাধা তো নেই। বাধা তো আছে কেবল বাঁচতে চাওয়ায়। দুর্বৃত্ত ক্ষমতা মানুষকেও নষ্ট করে কাউকে ভীরু দর্শক আর কাউকে নির্দয় জানোয়ার বানিয়ে তোলে।

দেশের প্রতিটি কর্ণারে পৌঁছে গেছে সিন্ডিকেটের দল।সরকারের উচিত অতিদ্রুত দেশের এসব বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলে তার সুফল পৌঁছে যাক প্রান্তিক জনগণের কাছে।সরকার যেভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে আবারও একই পথ ধরে পৌঁছে যাক প্রতিটি জনগণের কাছে।
kaisaru374@gmail.com

Logo-orginal