, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

৩০ সেকেন্ডে নেই ৩২ প্রাণ

প্রকাশ: ২০২০-০৬-২৯ ২১:২৪:৩৭ || আপডেট: ২০২০-০৬-২৯ ২১:৫৩:১৯

Spread the love

কায়সর সিকদার, আরটিএমনিউজ২৪ডটকমঃ
কথায় আছে-যে হারাইয়াছে সে জানে হারানোর কষ্টটা কত বিশাল!হারানোর মিছিলে আপনজনের নাম দেখে শোকে কাতর হয়ে চুপ হয়ে যায় অনেকে।কিন্তু কেউ কেউ অভিযোগ তুললেও তা সাময়িক। স্বাভাবিক মৃত্যু সহজে গ্রহণযোগ্য হয় তবে অস্বাভাবিক মৃত্যু কাঁটার উপর নুনের ছিটা মনে হয়।

২৯-৭-২০২০,সোমবার মুন্সিগঞ্জের জন্য একটি কালো দিন।শুধু কি মুন্সিগঞ্জ, নড়া দিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেক বাঙালির মনকে।কারণ আজ সদরঘাটে যে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটেছে তার সব যাত্রীই ছিল মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা। ৫০-৬০ জন যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন মারা যায় প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত।

অনেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। তাদের মধ্যে একজন আবদুর রউফ। কীভাবে লঞ্চটি ডুবে গেল, সে ব্যাপারে আবদুর রউফ বলেন, ‘লঞ্চটি সদরঘাটের একেবার কাছে চলে আসে। আমরা নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে ঘাটের খালি একটি লঞ্চ আমাদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। ভয়ে আমরা সবাই চিৎকার দিই। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের লঞ্চটি উল্টে যায়। আমরা ছিলাম লঞ্চের নিচের তলায়। পানিতে হাবুডুবু খেতে থাকি। দম আমার বের হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি পানির ওপরে উঠতে পারি। বেঁচে যাই। কিন্তু আমার বন্ধু সত্যরঞ্জন উঠতে পারেনি, সে মারা গেছে।আবেগাপ্লুত আবদুর রউফ জানান, লঞ্চের যারা মারা গেছেন বা ডুবে গেছেন, তাঁদের অনেককে তিনি ভালো করে চেনেন। কারণ এসব মানুষ মুন্সিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ঢাকায় আসেন। কাজ শেষে আবার মুন্সিগঞ্জে চলে যান।’ আবদুর রউফ বলেন, ‘আমাদের লঞ্চটতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল। নিয়ম মেনে ঘাটে ভেড়াচ্ছিল। হঠাৎ করে অন্য লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে এই মানুষগুলোকে মেরে ফেলল। (সৃত্র-প্রথম আলো)
অসচেতনতা এবং অপেশাদারিত্বই বেশিরভাগ দুর্ঘটনার মূল কারণ। চোখ বন্ধ করে অনেকে বলবে অতবড় নদীতে চলন্ত একটি লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া কতোই অপেশাদারিত্ব। এমন দুর্ঘটনা শুধু কি আজ ঘটেছে?, প্রায় সময়ই ঘটে। আর তার প্রতিকার কি দেখে আসছি তদন্ত কমিটি গঠন, ২-৩দিন হৈচৈ, মিডিয়া কর্মীদের পেশাদারিত্ব। আবার নতুন কোনো দুর্ঘটনা। ২ বছর আগে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর পুরো দেশ জাগ্রত হয়ছিল। ক্ষুদে স্কুল শিক্ষার্থীরা দেশকে জানান দিতে চেয়েছিল দেশের অস্বাভাবিকতা।এই দু’বছরে কত জল ঘোলা হলো,কই তার প্রতিফলন কি আদোও প্রয়োগ হয়েছে। সচেতন মহলে একটা কথা বেশ চলমান ~দেশে আইন আছে তবে তার প্রয়োগ নেই বললে চলে।
সচেতনতা হয়ে উঠতে পারে পুনজীবনদাতা।কথায় আছে একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না।সরকার আইন করে কোনো অপরাধ দমাতে পারবে না যতদিন না জনগণ সচেতন হচ্ছে না। দেশের সব অরাজকতার পিছনে অসচেতনতায় দায়ী।সাথে প্রশাসনিক সহযোগিতা থাকতে হবে।

প্রাণ ফিরুক প্রত্যেক যানবাহন রোডে। সচেতনতা অবলম্বন করে যানবাহন চলুক।এই ৩০ সেকেন্ডর অসচেতনতা যেনো কোনো প্রাণ না ঝরে। ৩০ সেকেন্ড হয়ে উঠুক প্রাণ বাঁচানো মুখ্য সময়।

Logo-orginal