, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

এই সময়ে শিক্ষার্থীরা যা করতে পারে : কায়সার সিকদার।

প্রকাশ: ২০২০-০৭-০২ ০০:২৩:০৭ || আপডেট: ২০২০-০৭-০২ ০০:২৩:১০

Spread the love

অদৃশ্য এক ভাইরাস ঘর বন্দী রেখেছে সম্পূর্ণ বিশ্বকে।থমকে দিয়েছে কর্মব্যস্ততা।ভেঙে পড়েছে ভবিষ্যৎ। সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থা। যেখানে কোমলমতি প্রাণচঞ্চল শিশুরা স্কুলের পরীক্ষা, ক্লাস,খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা আজ তারা ঘর বন্দী। জানে না কখন পৃথিবী ফিরবে স্বরুপে,আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়বে পরীক্ষা, ক্লাস নিয়ে।সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় অনার্স,ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।কখন গ্রেজুয়েট হয়ে মা-বাবার দুঃখ গুছাবে,সমাজের মুখে শুনা অজস্র বাক্যের জবাব দিবে।এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বলতে পারতেছে না তারা কখন পরীক্ষার খাতা নিয়ে বসবে।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারা পৃথিবীর জনমানবের কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, সোশ্যাল ডিসটেন্স ইত্যাদির মধ্যে আপাতত ঘুরপাক পুরো পৃথিবী। সমাধানের পথ খুঁজছে পুরো বিশ্ব। হয়তো একটা অদূর ভবিষ্যৎ পাওয়া যাবে। কিন্তু তাই বলে পৃথিবী কি থেমে থাকবে?

না, পৃথিবী কখনো থেমে থাকে না, অতীতে সংকটেও না, বর্তমানেও না, সম্ভবত আগামীতেও থেমে থাকবে না।
আগামী দিনের সকল পেশাজীবীরাই আজকের শিক্ষার্থী। শিক্ষার যেকোনো ধরনের গলদ ভবিষ্যতে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করবে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও শুরু হবে ক্লাস,পরীক্ষা, চাকরি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি, মূলত কিছুই থেমে থাকবে না।
প্রফেসর ড. নূ ক ম আকবর হোসেন (রসায়ন বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ) তার ভাষ্যমতে-
বিশ্ব সবসময়ই প্রতিযোগিতামূলক। এটি অতীতেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। এই সত্যটি শিক্ষার্থীদের মোটেই ভুলে থাকা উচিত নয়।

তাহলে একাধারে নিজ ঘরে আবদ্ধ থাকার এই সময়টা কীভাবে নিজের উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়? শিক্ষার্থীরা নিচের কৌশলগুলো অবলম্বনের চিন্তা করতে পারে:

১.শরীরচর্চা: সুস্বাস্থ্যের মধ্যেই সকল কল্যাণ নিহিত। সুস্থ শরীরের জন্য পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দাবার একান্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন নিয়ম করে 45 মিনিট হাঁটা, ঘরের ভিতরে হলেও চলবে। 8 থেকে 10 গ্লাস পানি পান করা। একনাগাড়ে এক ঘণ্টার বেশি বসে না থাকা । প্রতিরাতে নির্ধারিত সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং কমপক্ষে 7 ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা। সব সময় শারীরিকভাবে একটিভ থাকা।

২. Online resource ব্যবহার: Khan academy, MIT OCR, YouTube edu সহ বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রচারিত অনলাইন কোর্সসমূহ থেকে যার যার চাহিদা অনুযায়ী বাছাই করে সে সব চর্চা করা। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে, নিয়মিত এই সকল ক্লাসে অংশগ্রহণ করা।

৩. বাংলা ভাষা শিক্ষা: অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা ভাষা বিষয়ে যথেষ্ট দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। ভাষার উপর দক্ষতা না থাকলে কোন বিষয়ে সফলতা অর্জন করা যায় না। ব্যক্তিগত, সামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী; সকল ক্ষেত্রে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। নির্ভুল বানান, সঠিক উচ্চারণ, প্রয়োগ, সুন্দর হাতের লেখা শেখার জন্য বন্ধের সময় একটি বিশাল সুযোগ। একে কাজে লাগাতে হবে।

৪. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা: আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষার উপর উচ্চতর দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। English conversation, grammar, reading, writing, understanding, speaking ইত্যাদি বিষয় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা গুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। এইজন্যে ইন্টারনেটে বিনামূল্যে অনেক রিসোর্স পাওয়া যায়, পরিকল্পনা করে এসকল উৎসের সদ্ব্যবহার করতে হবে। যেমন, বিবিসি ইংলিশ এর কোর্স সমূহ অনুসরণ করা যায় (যেমন: 6 minutes English). এছাড়াও যেকোন বিদেশী ভাষা (আরবি, ফার্সি, জাপানি, কোরিয়ান, ফ্রেন্স ইত্যাদি) শিক্ষার সেরা সময় এ কোয়ারেন্টাইন কালীন বন্ধ। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার উপর বিনামূল্যে অনেক কোর্স ম্যাটেরিয়ালস আছে।

৫. গণিত শিক্ষা: গণিত কে বলা হয় বিজ্ঞানের ভাষা। গণিত ছাড়া বিজ্ঞান অচল। গণিতের দক্ষতা ছাড়া বর্তমান বিশ্বে উন্নতি নিশ্চিত করা কঠিন। গণিতের ব্যবহার প্রায় সব বিষয়ে দৃশ্যমান। অন্ততপক্ষে গণিতের মৌলিক কলাকৌশল গুলো রপ্ত করা প্রায় প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য। উচ্চ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এই সময়ে নবম দশম একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর গণিতের বইগুলো একবার পড়ে নিতে পারে। জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, অ্যালজেবরা, ক্যালকুলাস ও পরিসংখ্যান এর মত বিষয়গুলো জানা থাকলে ভবিষ্যতে গবেষণাকাজে যথেষ্ট সহায়তা পাওয়া যাবে। এ সকল বিষয়ের মৌলিক নিয়ম কানুন কলাকৌশল শিক্ষা করার জন্য এই সময়টা একটি চমৎকার সফলতা আনতে পারে।

৬. প্রচুর পড়া: জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন প্রচুর পড়তে হবে, সারাজীবন পড়তে হবে। পড়ার জন্য অভ্যাস দরকার। প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত একটা বই পড়ার পরিকল্পনা করা উচিত। পড়া মানে ভালোভাবে পড়া, লাল নীল কালির কলমের দাগ দিয়ে পড়া। বইয়ের শুধু কাগজগুলো থাকবে, বাকি সবগুলো একেবারে হজম করে ফেলতে হবে, তাহলেই ফল লাভ করা যাবে। বই পড়া শেষ করে পঠিত বইয়ের উপর একটি সারসংক্ষেপ লেখার চর্চা করলে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। অবশ্যই পৃথিবীর/দেশের সেরা লেখকদের সেরা বইগুলো আগে শেষ করা চেষ্টা করতে হবে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া,ভ্রমণ কাহিনী, আত্মজীবনী, ইতিহাস, দর্শন, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, আত্ম উন্নয়নমূলক বই, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের সেরা বইগুলো এই সুযোগে পড়ে নেয়া যায়।

৭. প্রচুর লেখা: প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে হবে। অন্তত এক-দুই ঘন্টা লেখার জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। লেখা বলতে: পাঠ্যবইয়ের বিষয়ে লেখা, কল্পনা থেকে লেখা, দেখে দেখে লেখা, মুখস্ত লেখা-ইত্যাদি। কাগজ কম থাকলে কাঠ পেন্সিল দিয়ে লেখা, এতে একই খাতায় বারবার লেখা যাবে।

৮. ICT : সুযোগ থাকলে আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করা। যেমন: হার্ডওয়ার, প্রোগ্রামিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, ডাটাবেজ, প্রেজেন্টেশন, কম্পিউটার গ্রাফিক্স, ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা। এর জন্য একাগ্রতা ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম দরকার। লকডাউন /কোয়ারেন্টাইন এর এই সময়টুকু
এই সকল দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।

৯. সিলেবাস ভিত্তিক পড়ালেখা: যার যার শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্য অংশটুকু প্রতিদিন একটু একটু করে সম্পন্ন করা। একটি অধ্যায় পড়া শেষে উক্ত অধ্যায়ের উপর একটি সার-সংক্ষেপ তৈরি করলে উপলব্ধি করা অনেক সহজ হয়। পঠিত বিষয়ের উপর নিজে নিজে একটি লেকচারও দেয়া যায়, তাতে সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত বিষয়ের বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করলে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করা যায়। পঠিত বিষয়ের মধ্যে প্রাপ্ত নতুন শব্দ, সূত্র, গ্রাফিক্স, চিত্র, যন্ত্রপাতি, এককসমূহ, প্রয়োগের ক্ষেত্র ইত্যাদি নোট করলে বিষয়ের উপর দক্ষতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

১০. সৃজনশীল কাজ: আঁকিবুকি, সাহিত্যচর্চা করা (যেমন: কবিতা ছড়া সংগীত গল্প ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদি), মডেল বানানো, প্রজেক্ট তৈরি করা, অরিগেমি চর্চা, পৃথিবীর মানচিত্র আঁকা, বিভিন্ন বিষয়ের উপর পোস্টার আঁকা, ঘরে যত জিনিস আছে তার নাম ধাম বর্ণনা সহ শ্রেণিভিত্তিক তালিকা তৈরি করা। এতে করে শেখাও হবে, প্রত্যক্ষ কাজ করার অভিজ্ঞতা হবে, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।

১১. ব্রেন গেম খেলা: শব্দজট, সুডোকো, আই কিউ টেস্ট ইত্যাদি র চর্চা করা। এতে ব্রেনের ক্ষমতা বাড়বে।

১২. ঘরের কাজে সহায়তা: ঘরের নিয়মিত যে সকল কাজ আছে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করলে অনেক কিছু শেখা যায়, বিশ্বাস বাড়ে, মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায়। এই সকল কাজের মধ্যে, রান্নাবান্না করা, তৈজসপত্র ধোয়ামোছা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, ফ্লোর মোছা, বাসন পরিষ্কার, ওয়াশরুম পরিষ্কার করা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও কৃষিকাজ, বাগানের পরিচর্যাসহ অভিভাবকের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা প্রদান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সকল কাজে অংশগ্রহণের কোন লজ্জা নেই। কীভাবে আরো সুন্দর করে, আরো সহজে, বৈজ্ঞানিক উপায়ে, এই সকল কাজ সম্পাদন করা যায়; তার উপায় বের করার জন্য শিক্ষার্থীরা চিন্তা করতে পারে, এক্ষেত্রে অনলাইন রিসোর্সকে কাজে লাগানো যায়। মনে রাখতে হবে শিক্ষার্থী পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য, সে কোন অতিথি নয়।

১২. ধ্যান করা, ধর্ম চর্চা করা: যার যার অভিরুচি ও বিশ্বাস অনুযায়ী দিনের নির্দিষ্ট একটি অংশ ধর্মীয় বিধি-বিধানের আলোকে ধর্মচর্চায় অতিবাহিত করা, ধ্যানমগ্ন হওয়া। মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন আমাদের যে উপায় উপকরণ দিয়েছেন তার জন্য প্রত্যহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। প্রার্থনা করা , তিনি যেন আমাদের জগতের জন্য উপকারী মানুষ হিসেবে তৈরি হওয়া সুযোগ করে দেন এবং করোনা ভাইরাসের এই সংকট থেকে তিনি যেন অনুগ্রহ করে মানব জাতিকে রক্ষা করেন।

১৩. ডায়েরি লেখা: প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের যথাসম্ভব বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখলে ভবিষ্যতে একটি খুব কাজে আসে। নিজের ভুল ত্রুটি সীমাবদ্ধতা সমাজের চালচিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, লেখার উপর নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। লেখার অভ্যাস না থাকলে হঠাৎ করে ভালো লেখক হওয়া যায় না, এর জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি দরকার। লেখার অভ্যাস গড়ে তোলার সেরা উপায় হল ” নিয়মিত ডায়েরি লেখা”। লকডাউন / কোয়ারেন্টাইনের এই সময়টুকুন ডাইরি লেখার জন্য চমৎকার। যেমন হতে পারে, করোনাভাইরাস সংকটের কারণে পরিবার, সমাজ, দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রতিনিয়ত মে ঘটনা ঘটছে তার বিবরণ লিখে রাখার চর্চা করা।

১৪. Public speaking/communication: কথা বলা একটি আর্ট, একটি চমৎকার শিল্প। অনেকে অনেক কিছু জানে কিন্তু যা জানে তা অপরের বোধগম্য ভাষায় গুছিয়ে বলতে পারে না। গুছিয়ে সহজে ও সুন্দরভাবে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করার কৌশল রপ্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত। ব্যক্তির সাফল্য অনেকখানি নির্ভর করে এই দক্ষতার উপর। এটি দীর্ঘ সময় ধরে চর্চা করলে তবেই আয়ত্তে আসে। ভাষার উপর দখল, সঠিক উচ্চারণ, উপস্থাপনার কৌশল, প্রচুর পড়ালেখা এবং নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। শিক্ষার্থীরা বন্ধের সময়ে দক্ষতার এই বিশেষ দিকটি সমৃদ্ধ করার কাজে লাগাতে পারে।

কোনভাবে সাহস হারানোর চলবে না, সব সময় মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে, কোনভাবে নেগেটিভ চিন্তা কে মনে স্থান দেয়া যাবে না। সকল অবস্থায় নিজের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পরিশ্রম চালিয়ে যেতেই হবে। একজন সৎ, সমৃদ্ধ, নির্ভরযোগ্য ও সুদক্ষ নাগরিক দেশের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা এই লক্ষ্য অর্জনে লকডাউন/কোয়ারেন্টাইনের সময়টুকু কাজে লাগালে তাদের আগামী দিনসমূহ অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

সর্বোপরি করোনাভাইরাস এর সংকট থেকে মুক্তির জন্য যে সকল বিধি বিধান নিয়ম কানুন সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে তার যথাযথ অনুসরণ ও পালনে কোন প্রকার অবহেলা করা যাবে না, নিজে পালন করা এবং অন্যকে পালন করার জন্য সহযোগিতা করা।
সকলের জন্য অনেক শুভকামনা।

Logo-orginal