, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

তুর্কির মুসলমানদের ঐতিহাসিক বিজয়ে আমার ভাবনা

প্রকাশ: ২০২০-০৭-১০ ২০:৪৩:৫৫ || আপডেট: ২০২০-০৭-১০ ২০:৫৩:২৫

Spread the love

আবুল কাশেমঃ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, তুর্কির আদালত হাগিয়া সোফিয়ার আলোচিত মসজিদে রূপান্তর করার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে, ১৯৩৪ সালের মন্ত্রী পরিষদের একটি সিদ্ধানের বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছে ।

১৯৩৪ সালে তৎকালীন ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার কতৃক মসজিদ গুলিকে যাদুঘরে রপান্তরিত করার জন্য নির্দেশ জারি করে এবং অসংখ্য মসজিদকে যাদুঘর বানায় ।

তুরস্কের বিচার বিভাগ ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তকে বাতিল করে মসজিদ হিসেবে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ।

আনাদোলু এজেন্সি সাংবাদিকদের সংকলিত তথ্য অনুসারে, ৬ষ্ঠ শতাব্দীর ইস্তাম্বুলের পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় গির্জা হাগিয়া সোফিয়া একই স্থানে তিনবার নির্মিত ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।

তুর্কির ১ম প্রসিডেন্ট ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী তুরস্কের মুসলমানদের মুর্তিয়মান আতঙ্ক কামাল আতাতুর্ক কতৃক ৫০০ বছরের পুরনো মসজিদকে যাদুঘর বানিয়েছিল ১৯৩৪ সালে ।

দীর্ঘ সংগ্রাম লড়াই চালিয়ে সে হাগিয়া সোফিয়ার মসজিদটির পক্ষে আজ রায় দিয়েছে তুর্কি আদালত ।
দীর্ঘ ৬৫ বছর পর নিজেদের সম্মান ও গৌরব ফিরে পেয়ে আজ আনন্দে আত্নহারা তুর্কির মুসলমানরা ।

উসমানীয়া খেলাফতের আগে গ্রীক শাসকরা এই মসজিদকে গীর্জায় রূপান্তরিত করেছিল ।

ইতিহাসঃ
উসমানীয় সাম্রাজ্য ঐতিহাসিকভাবে তুর্কি সাম্রাজ্য বা অটোমান সম্রাজ্য বলে পরিচিত, ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য। এই মহান সম্রাজ্যের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর পিতা আরতুল গাজী ।

১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান উত্তরপশ্চিম আনাটোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কর্তৃক, প্রথম দিকে রুমের সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও রুমের সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী।

প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়।

জানাযায়, এই মহান সম্রাজ্যের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর পিতা আরতুগুল গাজী হাগিয়া সোফিয়া মসজিদটি ১ম নির্মাণ করেন ।

কালের পরিক্রমায় ইসলামকে নিঃচিহ্ন করার প্রাণপ্রণ চেষ্টা করে গ্রীক শাসক থেকে কামাল আততুর্ক ।
১৯৩৪ সাল থেকে তুরস্কে মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করার মিশন শুরু করেছে কামাল আতাতুর্ক ও তার উত্তরসুরিরা ।

আলহামদুলিল্লাহ, বিংশ শতাব্দীতে সুলতান রজব তাইয়েব এরদোয়ানের হাত ধরে উসমানিয়া খেলাফত পুনঃ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে তুর্কির মুসলমানরা ।

স্বপ্ন দেখা উচিৎ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের, কারণ বায়তুল মুকাদ্দাস, কাশ্মীর, আরকান, চীনের উইঘুরসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষা করতে সোলতান এরদোগানের নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে হবে পাকিস্তান, মালেশিয়া, কাতার, কুয়েত, সৌদিআরবসহ মুসলিম বিশ্বকে ।

লেখকঃ প্রবাসী কলামিস্ট ।

Logo-orginal