, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

পাহাড়ে শান্তিতে নেই পাহাড়ি অসহায় পরিবার গুলো

প্রকাশ: ২০২০-০৭-০৪ ১৩:৪৫:১৮ || আপডেট: ২০২০-০৭-০৪ ১৩:৫২:১৪

Spread the love

আসিফ ইকবাল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই জবর দখলের লীলাখেলা। বান্দরবন পার্বত্য জেলার সদর উপজেলা ২নং কুহালং ইউনিয়নের ১ওয়ার্ড চেমী ডলুপাড়া বাজার সংলগ্ন মৃত পাইচিং প্রু মামার স্ত্রী ৭০ উর্দ্দো বয়স্ক লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাকে নিজ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে জায়গা দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বান্দরবান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লা অং মারমা ও তার কথিত প্রেমিকা মাসিংনু মার্মা।

সরজমিনে তদন্ত করতে গেলে উঠে আসে লোমহর্ষক পরিকল্পনার কথা। আপন চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে গড়ে তোলেই জেন্ত মানুষ হত্যার নীল নকশা। ছোট ভাই সকাল বেলা ক্ষেতে কাজ করতে গেলে তার বউয়ের সাথে করতো অবৈধ মেলামেশা, একাধিক বার ছোট ভাই প্রতিবাদ করতে গিয়েও তা করা সম্ভব হয়নি, গরীব অসহায় একা হওয়ার কারণে। স্ত্রী -স্বামী’কে তেমন মূল্যায়নও করতো না ভাসুরের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের কারণে।

শুধু হাহুতাশ আর ঝগড়াজাটিতে কোন রকম চলছিল তাদের ৮- ১০ বছরের সংসার জীবন।

পারিবারিক অশান্তিতে প্রায়ই সময় উপোস থাকার কারনে শুরু হয় গ্যাস্টিকের ব্যাথা, এতেই নেমে আসে আঁধার জীবনের শেষ অধ্যায়। প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে তাকে নিয়ে আসা হয় বান্দরবান বোমাং রাজার মাঠস্থ পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত ইম্যানুয়েল মেডিকেল সেন্টার নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে। কোন প্রকার অপারেশন করার সরকারি অনুমতি না থাকলেও অনেক গোপনীয়তায় এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন করার কথা বলে কেটে ফেলা হয় তার অন্ডকোষ ও মূত্র থলির রগ, অবস থেকে সেন্স আসলে শুরু হয় প্রচুর যন্ত্রণা এতে ক্ষান্ত হয়নি পাষন্ড স্ত্রী ও তার অবৈধ প্রেমিক বান্দরবান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লা অং মারমা।

সু-চিকিৎসার কথা বলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলার চকরিয়াস্থ মালুমঘাট খৃষ্টান মেমোরিয়াল হসপিটালে। বিধির নির্মম পরিহাস এক অপারেশনের ৪দিন পর আবার অপারেশন করতে গিয়ে ডাঃ জেক কেলির হাতে ধরা পড়ে ফাঁস হয়ে যায় তাদের পরিকল্পনা, এতে রুগীকে বাড়িতে নিয়ে এসে বিছানায় ফেলে রাখে ১মাস, ততদিনে নিঃশ্বাস আসে আর যায়। অভাগার দুঃখের কথা বলবে কাকে? দুই বোন এক ভাইয়ে মধ্যে বোনদের অন্যত্রে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে পাশে পায়নি তৎক্ষনাৎ। মা দুঃখীনি অশিক্ষিত হওয়ায় বুঝে উঠতে পারেনি সন্তানের দুঃখ। যখন দুই বোন জানতে পারলো তাদের ভাইয়ের অবস্থা ভালো না তখন সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়লো মা, ও দুই বোনে ৬মাস প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও বাঁচাতে পারেনি বড় ভাই উসানু মার্মা’কে।

ইম্যানুয়েল ক্লিনিক, বান্দরবান সদর হাসপাতাল,খৃষ্টান মেমোরিয়াল হসপিটাল, ফেয়ার হেল্থ চকবাজার মেডিকেল সহ দীর্ঘ ৭মাস হাসপাতালের বেটে জীবনের শেষ দিন গুলো অতিবাহিত করলেও একটা দিন / রাতের জন্য পায়নি তার স্ত্রী মাসিংনু মার্মা কে।

স্বামীর শয্যাশায়ী অবস্থায় বউ নিরাপদে সুখ বিলাসে করেছে প্রেমিক বাসুরের সাথে। এমন কি কোন প্রমাণ যেন কেউ না পায় তার জন্য স্বামীর চিকিৎসা বাবদ সকল স্লিপ / পরীক্ষার রিপোর্ট আগুনে পুড়ে ফেলা হয় অবৈধ প্রেমিকে নির্দেশে। তারই ধারাবাহিকতায় এখনো জেঠাতো বাসুরের প্রেমে অন্ধ হয়ে শ্বাশুড় বাড়ির জমিজমা তুলে দিতে মরিয়া হয়ে অসুস্থ বৃদ্ধ শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে বাড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বলে গত ১/৭/২০২০ বান্দরবান সদর থানায় ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কথিত প্রেমিক পাইহ্লা অং মারমার সহযোগিতায়।

এ বিষয়ে ২নং কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রু এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়, পাইহ্লা অং মারমা জন্মসূত্রে মায়ানমারের তার চাচা মৃত পাইচিং প্রু মারমা অনেক কষ্ট করে তাকে মানুষ করেছে। ভাতিজা’কে শিক্ষিত করার জন্য সাবেক বোমাং রাজা মৃত অংশৈপ্রু চৌধুরীর পরিবার ( বর্তমান বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি) সাচিং প্রু জেরীর বাসা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (বিএনপি) আব্দুল কুদ্দুস এর বাসায় রেখে মানুষ করেছে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন পাইহ্লা অং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ হওয়ার সুবাদে যা মন চাই তাই করে যাচ্ছে। তার মনে রাখা উচিত “ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়, হাতি লুটায় পড়লে পিঁপড়াও লাথি মারে“ বলে আক্রোশ প্রকাশ করেন।

পাই হ্লা অং মারমার বিষয়ে সাবেক পাড়া কার্বারীর বড় ছেলে সাচিং মারমা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর সে-তো চোখে মানুষ দেখেনা। পাইহ্লা অং এর মা অসুস্থ হয়ে মায়ানমারে মৃত্যুর পর তিন মাস বয়সে চাচী / চাচীর কোলে ছড়ে দুধ পান করে বাংলাদেশে এসে তাদের বাড়ীতে খেয়ে পড়ে বড় হয়েছে। তাদের বাড়ীতে চাচার সহযোগিতায় বিয়ে পর্যন্ত করেছে। তার বাবা (আমার জেঠা) চেমী ডলুপাড়ার ১নং মদ্য পানকারী লোক ছিলো যা স্বাধীন পরবর্তী এই এলাকায় আসা সকল সরকারি -বেসরকারি ও মুরুব্বি গণ জানে। অন্যের ঘাড়ে চড়ে বড় হওয়া ছেলেটা কি মায়ের মর্ম বুঝবে,,?? আজ দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই দুধ মাতার বসতভিটা দখল করতে মরিয়া। বিধিবাম তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েও পিছু হটতে চাইছে না। বরংচ করোনা আক্রান্ত হওয়ার ৭ দিনের মাথায় সরকারি কোন রিপোর্ট ছাড়া স্বেচ্ছায় করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়েছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, (আব্দুর রহিম) নামের আইডি থেকে ভূয়া পোস্ট দিয়ে বান্দরবান ক্যান্ট পাবলিক স্কুলের পাশে বাসা থেকে ১৪ কিঃ মিঃ দূরে চেমী ডলুপাড়া বাজার এলাকায় চায়ের দোকানে বসে মিটিং করছে আজ সকাল ৮টা থেকে অপরাধ করায় যেন তার মহা নেশা।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি শুনেছি অত্যন্ত দুঃখ জনক বিষয়, স্বামী হারার পর ৮মাস আগে একমাত্র ছেলে’কে হারিয়ে পাগলপ্রায় একটা মুমূর্ষু বৃদ্ধ মায়ের সাথে এমন নিষ্ঠুরতা কোন ভাবে কাম্য নয়। আজ হোক কাল হোক আমাদের সবাইকে মরতে হবে অন্যের জায়গা দখল করে সেটা কি কবর/ শ্মশানে নেওয়া যাবেনা। আমি এবিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে

Logo-orginal