Mohammad Juniad
প্রকাশ: ২০২০-০৮-২৬ ১৬:৫৯:৫৬ || আপডেট: ২০২০-০৮-২৬ ১৭:০০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
দীর্ঘ এক যুগ ধরে কাতারে বসবাস করার পর আজ(২৬শে আগষ্ট দোহা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বাংলাদেশ কমিউনিটির সুপরিচিত ও শ্রদ্বাভাজন ব্যাক্তিত্ব প্রকৌশলী ও লেখক ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জনপ্রিয় বাংলা গান তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে,এই মুখরিত জীবনের চলার পথে সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০০৮সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন।
কাতারের পরিবেশ ও পৌরসভা মন্ত্রণালয় বালাদিয়ায় প্রকৌশলী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পাশাপাশি বাংলাদেশ কমিউনিটিতে সবার কাছে সুপরিচিত ছিলেন এই গুনি ব্যাক্তি।
কাতারে থাকাকালে ১যুগ ধরে নানারকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি প্রকৌশলীদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ কাতার শাখার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমিতি কাতার এর সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক সংগঠনের এক জন উপদেষ্টা।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করায় গত বছর ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সংবর্ধনা দেয় কাতারের বাংলাদেশ নাগরিক সমাজ।
আজ রাতে কাতারে এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্য রওনা হবেন তিনি।
তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সেখানে বসবাস করছেন।
মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন,ইচ্ছে ছিলো সবার সাথে দেখা করার কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা আর সম্ভব হলো না।সে জন্য দুঃখ রয়ে গেল।
কাতার থেকে চলে যাওয়ার এই সময়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ড.আব্দুলাহ আল মামুন। তিনি বলেন কাতারে কাটানো ১যুগ আমার জীবনের শ্রেষ্টতম অংশ হয়ে থাকবে।
এখানকার সবার কথা আমার মনে পড়বে।
ড.আব্দুলাহ আল মামুনের কন্ঠে গাওয়া একটি গানের এ্যালভাম ‘শুধু তোমার জন্য, প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা থেকে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তিনি সমসাময়িক জীবন, প্রবাসী, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে লেখালেখি করছেন গত কয়েকবছর ধরে।
এছাড়া তার লেখা একাধিক বই ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে দেশ বিদেশে।
ড.আব্দুল্লাহ আল মামুনের জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩১শে জুলাই।
চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুল থেকে ১৯৭৫সালে এসএসসি এবং ১৯৭৭সালে চট্টগ্রাম কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইসএসসি পাস করে চট্টগ্রাম ইন্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান চুয়েট)ভর্তি হন।
সেখান থেকে বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৮৪ সালে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান।
থাইল্যান্ডে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট শেষ করে ১৯৮৮সালে অভিবাসী হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়।
২০০৮সাল থেকে তিনি কাতারে বসবাস করছেন।
এর আগে ১৯৮৮সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন শহরে পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন।
সেখানেও রেখেছেন প্রতিভাট স্বাক্ষর। সেখানকার নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেটের শোলহেভেন এলাকায় পরিশোধিত পানি ব্যাবহারের একটি প্রকল্পের রুপকার ছিলেন।
তিনি এমন একটি উপয়া বের করেন যাতে প্রায় ৫০মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়।প্রকল্পটির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করেছিলো তার অর্ধেক টাকা দিয়ে তিনি কাজ শেষ করেন।
সে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০০সালে পেয়ছেন দুটি মর্যাদা সম্পন্ন পুরষ্কার-নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ারস পাবলিক সেক্টর অ্যাওয়ার্ড ইন দ্যা ইকনমি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেক্টর এবং দ্যা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারস অস্ট্রেলিয়ার ‘ইঞ্জিনিয়ারস এক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড।
সিডনি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পুরকৌশল বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক ও ছিলেন।