, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

প্রদীপের চাঁদা আদায়কারী দফাদার কোটি টাকার মালিক

প্রকাশ: ২০২০-০৮-০৭ ১৩:১৮:৩৪ || আপডেট: ২০২০-০৮-০৭ ১৩:১৮:৩৬

Spread the love

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা হোয়াইকং ইউনিয়নের দফাদার আমিনুল হক রাতারাতি জিরো থেকে হিরো হয়ে গেলেন ওসি প্রদীপের পক্ষে চাঁদা করে।

বাংলাদেশ সরকার যখন মাদক মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন তখন থেকে ক্রসফায়ারের নামে ঘুষ বার্ণিজ্য শুরু করেন ওসি প্রদীপ কুমার। এই ঘুষের নেতৃত্ব দিতেন দফাদার আমিনুল হক। ওসি প্রদীপ যখন ক্রসফায়ার দেওয়া শুরু করেন তখন থেকে এই ঘুষের বাণিজ্য শুরু। তখন আতঙ্কে পড়ে যায় পুরো টেকনাফ উপজেলা বাসী।এই সুবর্ণ সুযোগে ইয়াবা ও ঘুষের বার্ণিজ্য নেমে যায় দফাদার আমিনুল হক। দফাদার নুরুল আমিন ওসি প্রদীপের প্রধান সোর্স। ওসি প্রদীপের শত কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের মুল হোতা বলে তাকে ওসি আমিনুল নামে ডাকতো অনেকে।

দফাদার আমিনুল হক সুযোগ কাজে লাগিয়ে শত শত অসহায় মানুষকে হয়রানির শিকার করে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কারো  কারো কাছ থেকে ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিতেন বলে একাদিক অভিযোগ রয়েছে। আবার মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কেড়ে নিতেন নামি-দামি গাড়ি। মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ার অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই দফাদার।

আমিনুলের নেতৃত্বে চলে ইয়াবা ডনদের টাকার বিপুল পরিমাণ লেনদেন। প্রতিমাসে ইয়াবা ডনদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতেন পুলিশের হাত থেকে এই দফাদার আমিনুল। বিগত দুই বছর আগে যেখানে একটি মাইক পাবলিসিটির ছোট্ট একটা দোখান করতো। তার খাবারের জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো। এবং তার পিতা মৌলভী সিরাজ এর বাড়ী ভিটা ছাড়া তেমন কোন সম্পদ ছিলোনা। যেখানে রাতের খাবার জোগার করলে সকালের চিন্তা করতে হতো তার পরিবারের সেই দফাদার রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো জনমনে প্রশ্ন এখন।

বর্তমানে তার দামী বাইক ও ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একটি মার্কেট রয়েছে। নিজ অর্থায়নে তার বাড়ি যাওয়ার জন্য ৬লক্ষ টাকা খরছ করে একটি সড়কও নির্মান করেছেন দফাদার আমিনুল হক। শুধু তাই নয় একটি WiFi  লাইন যখন হোয়াইক্যং ইউনিয়নে প্রথম স্থাপন করা হয় তখন সেই লাইনটির নজর লাগে দফাদার আমিনুল হক। তখন থেকে মামলা ও ক্রসফায়ারের হুমকি দেয় প্রতিনিয়ত অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে জীবন বাঁচাতে নাম মাত্র অল্প টাকায়  লাইনটি দফাদার আমিনুল হক এর হাতে তুলে দেয় নেওয়াজ। তার অপকর্মের বিষয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চাইলে তাদের মামলায় ডুকানোর  হুমকি দিয়ে দমন করে রাখতেন আমিনুল হক। #সংগৃহীত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।

Logo-orginal