admin
প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৯ ১১:৪৫:২৮ || আপডেট: ২০২০-০৮-১৯ ১১:৪৫:৩০
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সুন্দরবন উপকূলের নিকটবর্তী এলাকায় আবারো একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।…(চিত্রে লাল বৃত্তাকার অংশে)
লঘুচাপটি আগামি ৩৬ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছুটা শক্তি বৃদ্ধি করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা সর্বোচ্চ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এটি গড়ে পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর প্রভাবে আগামি ২/৩ দিন উত্তর বঙ্গোপসাগরসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসমূহে ঝড়ো বাতাসসহ মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে দেশের সকল সমুদ্রবন্দরে চলমান ৩ নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকতে পারে আরো কিছুদিন।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে কক্সবাজার, টেকনাফসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। এসকল এলাকায় একটানা বিরতিহীনভাবে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে বিরতিসহ মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ মাঝে মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দিনে ও রাতের যেকোন সময়।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগামী ২/৩ দিন সমুদ্র ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথগুলোতে যাতায়াতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় টেকনাফে, ১৪৯ মিলিমিটার। এছাড়া গোপালগঞ্জে ৮৬ মিলিমিটার এবং কক্সবাজারে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চিত্রে লঘুচাপটির বর্তমান অবস্থান ও গতিপথ দেখুন।