admin
প্রকাশ: ২০২০-০৮-০৬ ০৮:২৫:০৯ || আপডেট: ২০২০-০৮-০৬ ০৮:২৫:১১
আবুল কাশেম, (মধ্যপ্রাচ্য)ঃ বৈরুত বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫ জনে উন্নীত হয়েছে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি আছে প্রায় ৪ হাজার জন।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের মেয়রের দাবী ক্ষতির পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার।
ঘটনার তদন্তকারীরা বৈরুত জুড়ে যে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা পরীক্ষা করে এখন একটি ওয়াটারফ্রন্টের গুদামে অত্যন্ত বিস্ফোরক সার সংরক্ষণে সম্ভাব্য অবহেলার বিষয়টি উঠে আসার পর পর সরকার বেশ কয়েকজন পদস্থ বন্দর কর্মকর্তাদের গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে।
সংবাদ আল জাজিরার।
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের কারণটি তাত্ক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়, তবে কর্মকর্তারা এই বিস্ফোরণটিকে ছয় বছর ধরে বন্দরের একটি বন্দরের গুদামে জব্দকৃত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সাথে সম্পর্কিত বলে জানিয়েছে।
বিস্ফোরণটি লেবাননের রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল, গতরাত পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩৫ জন মারা যায় এবং বৈরুত জুড়ে আরও ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, জরুরি শ্রমিকরা বেঁচে থাকাদের সন্ধানের জন্য ধ্বংসস্তুপের তলদেশে খোঁড়াখুঁড়ি করায় তারা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন।
৩০০,০০০ এরও বেশি লোক বাড়িঘর হারিয়েছে এবং বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবদউদ বলেছিলেন যে বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি ১০ বিলিয়ন থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে অনুমান করা হচ্ছে।
লেবাননের মন্ত্রিসভা রাজধানীতে দু’সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং শহরের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্যমতে ৩ প্রবাসী নিহত ও দেশটির জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কর্মরত থাকা ১৯ জন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য আহত হয়েছে।
দুতাবাস জানিয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বিস্তারিত জানাতে পারবে।