admin
প্রকাশ: ২০২০-০৯-০৯ ২০:৩০:৫১ || আপডেট: ২০২০-০৯-০৯ ২০:৩০:৫৩
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ গার্মেস কর্মী ইমাম হোসেন (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। স্বজনরা বলেন তার কিছু একটা হয়ে গেলে পরিবারটি নিঃশ্ব হয়ে যাবে।
দগ্ধ ইমাম হোসেনের বোন নয়ন বেগম আক্ষেপ করে বলেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো পথ নেই। বেঁচে থাকবে, নাকি মারা যাবে? আল্লাহ ভালো জানেন।
ঘটনার দিন থেকে খেয়ে না খেয়ে ৬ দিন পার করলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে। চিকিৎসক দেখলেই ভাইয়ের কথা জিজ্ঞাস করেন। কেমন আছে, কথা বলে কিনা, চোখ মেলে দেখে কিনা এমন নানা প্রশ্ন। চিকিৎসকরা স্বজনদের বলেন, আল্লাহকে ডাকেন। এ ছাড়া আর কিছুই করার নেই। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পরেন স্বজনরা। বুধবার দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
বোন নয়ন বেগম জানান , আশা ছেড়ে দিয়েছি। বাঁচবে কিনা জানি না। আল্লাহ শেষ ভরসা।
জানা গেছে, আশংকাজনক অবস্হায় আইসিইউতে দগ্ধ ৮ জন মসুল্লি চিকিৎসাধীন। তাদের মায়া ত্যাগ করেছে স্বজনরা। তারা আছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম বলেন, আশা ছাড়েনি। চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। সবাই এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আল্লাহ উপর ভরসা রাখতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
অগ্নিদগ্ধ গার্মেস কর্মী ইমাম হোসেনের ৯ বছরের ছেলে ইব্রাহিম বলেন, বাবার আয়ে সংসার চলতো। কিছু একটা হয়ে গেলে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। লেখাপড়া আর করা হবে না। এক বেলা খেলে আরেক বেলা খাবার জুটবে না। আল্লাহ কাছে বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া করছি। দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চাই তারা যেনো আমার বাবার জন্য দোয়া করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজ চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৮ জন দগ্ধ হন। হাসপাতালে ভর্তিদের বেশিভাগেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় বুধবার এই রিপোট লেখা পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ জন।
সুত্র: নয়া দিগন্ত ।