, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

এবার দলবেঁধে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরের এক বিধবা নারীকে

প্রকাশ: ২০২০-১০-০৫ ২৩:৫১:৪৩ || আপডেট: ২০২০-১০-০৫ ২৩:৫১:৪৪

Spread the love

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক বিধবা নারীকে (৩৮) দলবেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই নারীকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।

সোমবার সকালে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে রামগতি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন। পরে দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম থেকে জামাল ও সোহেল নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার জামাল চরপোড়াগাছা গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের ছেলে ও সোহেল একই এলাকার আবু আহম্মদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আসামিরা গত কয়েকদিন আগে ওই নারীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে ওই নারী আদালতে মামলা করেন। এর জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে দলবেঁধে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। এরই মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর ওই নারী একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। ফলে তিনি বাড়িতে একাই বসবাস করেন। এ সুযোগে আসামিরা তাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে তাদের সাথে বিধবা নারীর বাগি¦তন্ডা হয়। তখন বিধবাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়। এখনো তার হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ রয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা করা হয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শনিবার রাতে দরজা ভেঙে আসামিরা ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে রশি দিয়ে হাত-পা ও টেপ দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। ওই নারীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

রোববার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Logo-orginal