, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মহেশখালীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলনের বিরুদ্ধে অভিযান

প্রকাশ: ২০২০-১০-১৬ ১৮:৪১:২৪ || আপডেট: ২০২০-১০-১৬ ১৮:৪১:২৬

Spread the love

মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন ড্রেজার মেশিন জব্দ,

জয়নাল আবেদীন, মহেশখালীঃ- কক্সবাজার জেলার
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ব্রীজের একটু উত্তরে কোহেলিয়া নদী থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সিন্ডিকেট চক্র নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলন করায় অচিরেই ধ্বংস হওয়ার পথে কোহেলিয়া নদী ।

প্রায় ২০ দিনের অধিক সময় ধরে মাতারবাড়ী নতুনবাজার দীঘিরপাড়ার আব্দু শুক্কর, আব্দু রহিম ও ঠিকাদার আজম খানসহ সিন্ডিকেটর বেশ কয়েকজনের সহযোগিতায় কোহেলিয়া নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি উত্তোলনের কাজ পরিচালনা করে আসছে।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলননের কারণে মাতারবাড়ীর মানচিত্র থেকে কোহেলিয়া নদী নামক চিহ্নটি ভবিষ্যতে উঠে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের বসতভিটার উপর দিয়ে এই পাইপ লাইন চালানোতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি সহ চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

বালি উত্তোলনে প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক’ র ড্রেজার বলে চাপে রেখে এই অবৈধ বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। যদিও এই বিষয়ে এমপি সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন এমনকি অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে ম্যাজিস্ট্রেটকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

সুত্র মতে অবৈধ বালি উত্তোলনের মালিকানা বিষয়ে জানতে চাইলে মাতারবাড়ীর আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আবু হাইদার আমাদের জানান , বালি উত্তোলনের বিষয়টি কিছুদিন ধরে জানে কিন্তু এই বালি উত্তোলনের বালি উত্তোলনের মালিকানা বিষয়ঁটি অস্বীকার করেন।

অবৈধ বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে ১৪ই অক্টোবর বিকেল ৩ টার দিকে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা সেখানে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে মাতারবাড়ির সাইরার ডেইলের দক্ষিণ পাশে বসানো ড্রেজারটি জব্দ করে ও পাইপের প্লাস্টিক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।।

এছাড়া মধ্যম রাজঘাটে রাস্তা ব্লক করে বসানো লোহার পাইপটি খুলে এবং প্লাস্টিকের পাইপটি কেটে জনস্বার্থে রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে ড্রেজারের মানুষ জন পালিয়ে যাওয়ায় জেল/জরিমানা করা যায়নি।

এই ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা বলেন,উপজেলা প্রশাসন মহেশখালী বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না । এছাড়া আমরা প্রায়ঃশ বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে যায় কিন্তু কোন কোন সময় স্পটে অপরাধীদের ধরতে না পারার কারণে তাদেরকে জেল / জরিমানা করা যায় না যদিও তাদের অবৈধ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয় ।

এইসময় উপস্থিত ছিলেন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।

Logo-orginal