admin
প্রকাশ: ২০২১-০১-০৪ ২০:০৭:২৯ || আপডেট: ২০২১-০১-০৪ ২০:০৭:৩১
জয়নাল আবেদীন মহেশখালীঃ বিয়ের ৮মাসের মাথায় মাতারবাড়িতে পিরোজপুরের গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা রহস্যঘেরা স্থানীয়দের মাঝে। অনেকের মতে অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এই গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার যে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ছবি এবং ঘটনাস্থলের পারিপাশ্বির্ক চিত্র দেখলে সন্দেহ জাগে হত্যার নমুনা এমনটাই জানালেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানাযায়, ৪ জানুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে মাতারবাড়ীর সিকদার পাড়ায় ওয়ালিদ চৌধুরীর ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে ৷
নিহত গৃহবধূর নাম সুমি আক্তার (১৯), পিরোজপুরের মাঠ বাড়িয়ার পাচশতকুড়া গ্রামের মোঃ আবুল কালামের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পস্কোতে কর্মরত চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গার কুমারী এলাকার আব্দু রাজ্জাকের পুত্র মোঃ ওসমান আলী ৮ মাস আগে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে সুমি আক্তারকে ৷ বিয়ের পরে ৬ মাস যাবত মাতারবাড়ির এই ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন। প্রথম স্ত্রীর প্রসংগ ও পারিবারিক কলহের জেরে গতরাতে স্বামী স্ত্রীর জগড়া লাগে ৷ প্রতিদিনকার মতো সকালে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মস্থলে চলে যায় স্বামী ওসমান। সকালে স্বামী চলে যাওয়ার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয় ৷ ঘটনার সূত্রে আরও জানা যায়, সকালের দিকে গৃৃহবধুর ঘরটি বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়িওয়ালার ভাই ইয়ার মোঃ চৌধুরী দরজায় কিছুক্ষণ ডাকডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেলে বাড়িওয়ালা ওয়ালিদ চৌধুরী স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেই ৷ পরে পুলিশ, ইউপি মেম্বার আব্দুফ রউপ, মুজিবুর রহমান, মহিলা ইউপি সদস্য ছকুনতাজ, নিহতের স্বামী ওসমান সহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে দরজা ভেংগে ঘরে প্রবেশ করলে বিমের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় ৷ এবিষয়ে মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান ৷
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্র জানান, গৃহবধুর মৃত্যূর রহস্য হত্যা না আত্মহত্যা সঠিকভাবে তদন্তকরে বের করা হবে।