, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ’ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয় অনুমোদন স্থগিত’

প্রকাশ: ২০২১-০১-০৭ ১১:৫০:২৮ || আপডেট: ২০২১-০১-০৭ ১১:৫০:৩০

Spread the love

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। সরিয়ে নিয়েছে আইনপ্রণেতাদের। ফলে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয় অনুমোদন স্থগিত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক ভিডিও বার্তায় তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের বেদনা বুঝতে পারছি। বুঝতে পারছি আপনারা কতখানি মর্মাহত। আমরা একটা নির্বাচন জিতেছিলাম যা আমাদের কাছে থেকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। তবুও এখন আপনাদের বাড়ি ফিরে যেতে হবে। কেননা আমাদের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে।’

গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা বুধবার কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে বসেন। এর কয়েক ঘন্টা আগেই এর বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনে জড়ো হন হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক। সেই সমাবেশের বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

রয়টার্স বলছে, এই সমাবেশের অল্প একটু দূরে গিয়ে কয়েকশ ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এক পর্যায়ে কংগ্রেসের অধিবেশন চলার মধ্যেই পুলিশের বাধা ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়েন তারা। ভবনে ধ্বংসযজ্ঞও চালানো হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে পুলিশ।

সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) সদস্যদের পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ। ট্রাম্প সমর্থক কয়েকজন আইনপ্রণেতার নির্বাচনের ফল বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই সেখানে এই গোলযোগের সৃষ্টি হয়।

এই পরিস্থিতিতে সিনেট অধিবেশনও মূলতবি করা হয়। যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের তাদের আসনের নিচ থেকে গ্যাস মাস্ক বের করে পরার পরামর্শ দেয়।

হোয়াইট হাউজের কাছে সমবেত কয়েক হাজার সমর্থকের উদ্দেশে ট্রাম্প বক্তব্য দেওয়ার পর এই গোলযোগ দেখা দেয়। বক্তব্যে পুরনো অভিযোগ ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে তার কাছ থেকে নির্বাচন ‘চুরি করে নেওয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প।

ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা সবাই ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে তেমন কোনো জালিয়াতি না হওয়ার কথা বলেছেন। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ৭০ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে ট্রাম্পের ২৩২টির বিপরীতে বাইডেনের পক্ষে আসে ৩০৬টি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্টেটে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়ে বিফল হতে হয় ট্রাম্পকে।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স অবলম্বনে কালের কন্ঠ ।

Logo-orginal