, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Mohammad Juniad Mohammad Juniad

গৃহকর্মীর হাতেই খুন হলেন সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক

প্রকাশ: ২০২১-০৩-০৩ ১৫:৫৮:৩৬ || আপডেট: ২০২১-০৩-০৩ ১৫:৫৮:৩৯

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আবদুল হককে (৮৫) হত্যার দুই দিনের মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।

বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে গালিগালাজ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহকর্মী (বাড়ির কাজের ছেলে) জমির উদ্দিন (২৮) তার গৃহকর্তা আবদুল হককে খুন্তির আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় জমিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জমির উদ্দিন বাঁশখালী পৌরসভা জলদির খলিশ্বাপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ১৬ বছর ধরে আবদুল হকের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে আসছিলেন।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসপি জাকারিয়া রহমান (জিকু) বুধবার (৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই তথ্য জানান ।

এএসপি বলেন, অতি দ্রুত সময়ে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে পুলিশ। হত্যাকারীর বরাত দিয়ে এএসপি বলেন, গত সোমবার ভোরে গৃহকর্মী জমির উদ্দিন গৃহকর্তা আবদুল হককে ঘুমান্তাবস্থায় প্রথমে খুন্তি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।

এরপর মুখে বালিশ চাপ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে জমির উদ্দিন হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য নিজের পায়ে ছুরি চালিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং কাপড় দিয়ে পা ও মুখ বেঁধে উপুড় হয়ে পড়ে থাকেন।

পুলিশ আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে জমিরসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। জমির নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রথম দিকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে জমির একাই তার গৃহকর্তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।

পরে তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত খুন্তি, বালিশ, ছুরি ও পুকুর সেচ করে ফেলে দেওয়া তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার ৩ মার্চ ভোরে নিহত আবদুল হকের বড় ছেলে নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্য মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) সুজন কুমার দে, থানার সেকেন্ড অফিসার আহসান হাবিব ও মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা শেখ সাইফুল আলম।

Logo-orginal