, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

ঈদে ঘুরে আসুন কক্সবাজার

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-০৭ ১৬:৪২:২৩ || আপডেট: ২০১৫-০৬-০৭ ১৬:৪২:২৩

Spread the love
ভ্রমন ডেস্ক ,আরটিএমনিউজ২৪.কম
Coxs-Bazar20140718230756
চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ পূর্বে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে কক্সবাজার জেলার অবস্থান। পাহাড়, সাগর, দ্বীপ, নদী ও সমতল ভূমির এক অনন্য মিলন মোহনা এ কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম ১২০ কি.মি দৈর্ঘ্যের বালুকাময় সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজার জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলা ও বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমানা বিভক্তকারী নাফ নদী এবং মায়ানমার, দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।

দর্শনীয় স্হান বলতেই কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। সবচেয়ে জাঁকজমক হচ্ছে লাবনী বিচ। পরিস্কার ঝকঝকে পরিবেশ আর নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। বিচের তীর ঘেষে রয়েছে ইজি চেয়ার। চা-কফি-ডাব-মুড়ি-বাদাম সবই পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া স্পীডবোট, বিচকার, ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্হা এসব তো রয়েছেই। তবে বিচে সবচেয়ে বিরক্তিকর পেশাদার ফটোগ্রাফারদের উৎপাত।

1427671204kuyakata_16859

একটু দূরে ইনানী বিচের সৌন্দর্যও অবশ্যই প্রশংসনীয়। এখানে পানির মধ্যে রয়েছে বড় বড় সব পাথর। ভাটার সময় তাই উকি দেয়া পাথরই সৌন্দর্য ফুঁটিয়ে তোলে এখানকার। ইনানী বিচের লাল ডাবের স্বাদই অন্যরকম। ইনানী যাবার পথে দীর্ঘ সি-ড্রাইভ অবশ্যই মুগ্ধ করবে আপনাকে। রাস্তার একদিকে পাহাড় আর অন্যদিকে সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত পুরোটা পথ সঙ্গ দিবে আপনার।

ইনানী বিচে যাবার পথেই দেখা মেলে হিমছড়ির। এখানে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এক ঝর্না। সিড়ি বেয়ে  অনেক উঁচু পাহাড়ে উঠে কক্সবাজারের ভিউ দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। সিড়ি দিয়ে উঠতে প্রথম দিকে মনে হয় এতো অল্প, পরে যেন ওঠার পথ আর শেষ হতে চায় না। অবশেষে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বিমোহিত হয়ে যেতে হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে। এছাড়াও এখানে ছোট মার্কেট ও সুন্দর করে সাজানো বিচ রয়েছে যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।

কক্সবাজারের মহেশখালী বেশ সুন্দর একটা জায়গা। মাঠে শুকানো তরতাজা শুটকি পাওয়া যায় এখানে। শুটকির ফিল্ড ছাড়াও এখানে রয়েছে লবনের ফিল্ড। এখানকার মিষ্টি পান অতি বিখ্যাত।

ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও বিমান সকল পথেই কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪৪০ কি.মি.। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার রুটের বাসগুলো ছেড়ে যায়। তবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর, মতিঝিল ও আরামবাগ থেকে অধিকাংশ বাস ছেড়ে যায়।

এই রুটে এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের বাস রয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী উল্লেখযোগ্য পরিবহনগুলোর মধ্যে রয়েছে – গ্রীন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া, এস.আলম. পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ বাহাদুর, সেন্টমার্টিন প্রভৃতি। এছাড়া আরও কিছু পরিবহনের বাস এই রুটে চলাচল করে।

ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে এখনো কোনো রেল যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। রেলে করে কক্সবাজার যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হবে। চট্টগ্রামের চকরিয়া থেকে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস রয়েছে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়ার। চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫৭ কি.মি.।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনসমূহ
মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশীথা, মহানগর গোধুলী এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস

ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে বিমান যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট প্রতিদিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে।

Logo-orginal