n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৬-২৬ ১৫:৫২:০৭ || আপডেট: ২০১৫-০৬-২৬ ১৫:৫৬:২২
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম): তিন দিনের টানা বর্ষনের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে অংশের ২৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষকে। অবশ্যই সড়কের কয়েকটি স্থানে ইট, বালি দিয়ে সংস্কার করছে কর্তৃপক্ষ।
সংস্কার করার পর এক পশলা বৃষ্টিতে সড়ক পুর্বের চেহারায় ফিরে গেছে। এছাড়া সড়কের অনেক অংশে বৃষ্টি পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় পানি জমে গাড়ি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
সড়কে গর্তের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে সময়মতো গন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা যাত্রীবাহী বাস এবং পন্যবাহী গাড়ি। আর এ অবস্থা অব্যহত থাকলে ঈদের আগে চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ফলে সড়ক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ধুমঘাট ব্রিজ থেকে বড়দারোগাহাট পর্যন্ত অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।বিশেষ করে মস্তাননগর বিশ্বরোড়, মিঠাছড়া বাইপাস, জামালের দোকান, সুফিয়া রোড়, মিরসরাই সদর, বড়তাকিয়া বাইপাস, নয়দুয়ারিয়া, হাদিফকিরহাট, নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বড়কমলদহ ও বড়দারোগাহাট এলাকায় সড়ক এলাকায় ছোট বড় গর্ত ও খানা-খন্দে ভরে গেছে।
ফলে এসব এলাকায় যানবাহন তার স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া খানা-খন্দে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে মালবাহী ভারি যানবাহনগুলি।
মহাসড়কের যাত্রীরা জানান, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেই পুরোনো ক্ষতগুলো আবারো বেরিয়ে এসেছে। বৃষ্টি যত বেশি হচ্ছে এসব গর্ত ও খানা-খন্দও তত বড় আকার ধারণ করছে।
উপজেলার মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা আরিফ হোসেন ও রনি ভৌমিক জানান, টানা বর্ষণে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কিছু দূর পরপর পুরো সড়কেই এখন খানা-খন্দ দেখা যাচ্ছে। এ কারণে যানবাহনগুলি এখন আগের চেয়ে অনেক ধীরগতিতে চলছে। আর রাতে চট্টগ্রাম বন্দর ও মহানগরী থেকে সারাদেশের উদ্দ্যেশ্যে অসংখ্য যানবাহন ছেড়ে আসলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়ে ভাঙা সড়কের কাছে যানজট সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে আবার গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন, যা আরো বেশি দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম শহরের একে খান থেকে মিরসরাইয়ের ছোটকমলদহ যেতে বাসে উঠেন তারা দুই বন্ধু । একেখান থেকে তাদের গন্তব্যে ছোট কমলদহ আসতে বড়জোর সময় লাগে ২ ঘন্টা। সে জায়গায় রাত নয়টায় তারা গন্তব্যে পৌছান। সড়কে অসংখ্য গর্তের কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চলাচল করছে এবং যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি বসেই ইফতার সারছে।
এ বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুলফিকার আহমদ বলেন, সড়কের কিছু স্থানে টানা বৃষ্টির কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব স্থানে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সংস্কার ও করছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করা যাচ্ছেনা। বৃষ্টি বন্ধ হলে বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করলে সড়কে আর গর্ত থাকবেনা।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক অরুণ আলো চাকমা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গর্ত সৃষ্টি স্থানে সংস্কার করা হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে ইট উঠিয়ে বিটুমিন দিয়ে পুনরায় সংস্কার হবে। যাতে ঘরে সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে