, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

তুরস্কের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের জয়, হারিয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা !

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-০৮ ০৪:০৪:১৯ || আপডেট: ২০১৫-০৬-০৮ ০৪:০৪:১৯

Spread the love

আঙ্কারা: তুরস্কে গুরুত্বপূর্ণ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন একেপি পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। তবে এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে সেদেশের আধা-সরকারি নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি।
সংবাদ সংস্থা আনাতোলিয়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, গণনা করা ৯৭ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৪১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছে একেপি। বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টি ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

৫৫০টি আসনের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা পেতে হলে ২৭৬ আসন পেতে হয়। কিন্তু একেপি পেয়েছে ২৬০টি আসন। রিপাবলিকান পিপলস পার্টি পেয়েছে ১৩১টি আসন। ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টি পেয়েছে ৮৭টি আসন। ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট নিয়ে প্রো-কুর্দিশ পার্টি পেয়েছে ৭৮টি আসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একেপি পার্টির একজন নেতা বলেছেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠার আশা করছি। তবে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাতুভলু বলেছেন, জনগণের সিদ্ধান্তই সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।
নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠা পেলে সংবিধান সংশোধন করে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট শাসিত ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হতো।
এতে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। তুরস্কে গত ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে একেপি। তবে এবারই দলটি সবচেয়ে বড় নির্বাচনী চ্যালেঞ্জে পড়ে।
এবারের নির্বাচনে একেপি কাংখিত জয় না পেলেও তার জনসমর্থন কমেনি। দেশে-বিদেশে ইসলামঘেঁষা প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিরুদ্ধে বৈরি প্রচারণা সত্ত্বেও জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায়নি। আগের মতই ভোট পেয়েছে একেপি।
এখন সরকার গঠনের জন্য একেপি অন্য দলের সাথে কোয়ালিশন গঠন করবে। সংবিধান সংশোধন করতেও অন্য দলের সহযোগিতা নিতে হবে। তবে সেটা কঠিন হতে পারে। জাজিরা/বিবিসি।/rtnn,

Logo-orginal