, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

দুই বছরে ব্যাটারী চালিত রিক্সা দুর্ঘটনায় নিহত ৩১১ আহত ১৮৫৭২

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-০৮ ১৪:৪৩:৪৯ || আপডেট: ২০১৫-০৬-০৮ ১৪:৪৩:৪৯

Spread the love
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন,আরটিএমনিউজ২৪ডটকম
দুই বছরে ব্যাটারী চালিত রিক্সা দুর্ঘটনায় নিহত ৩১১ আহত ১৮৫৭২
চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম মহানগরীর উচু-নিচু পাহাড়ী জনপদের সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত রিক্সা গত দুই বছরে ৪৩,২০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১১জন নিহত ও ১৮,৫৭২জন আহত হয়েছে। প্রতিদিন নগরীতে গড়ে ৬০-৭৫টি ব্যাটারী রিক্সা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুঙ্গত্ব বরণ করেছেন ১,১৭৫ জন আহত ও নিহতদের ৩২ শতাংশ চালক বলে দাবি করেছেন দেশের যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মরত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ ৮জুন সোমবার দেশের গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবেদনে এ দাবী করে সংগঠনটি। দেশের গণমাধ্যমে গত দুই বছরে প্রকাশিত রিপোর্ট এবং নগরীতে কর্মরত রিক্সার মালিক ও চালক সংগঠনের সাথে গত ৩ মাস ধরে জরিপ চালিয়ে একই সাথে নগরীর বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল ও এনজিও পরিচালিত ক্লিনিক সমূহে সূত্র থেকে উপরোক্ত আহত ও নিহত তথ্য পাওয়া গেছে। একই সময়ে দুর্ঘটনায় ২২,০১১টি রিক্সা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ এবং ২১,১৪৯টি রিক্সা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপরোক্ত দুর্ঘটনায় ব্যাটারী ব্যাটারী বিস্ফোরণ অথবা ব্যাটারী পানি চোখে মুখে পড়ে দৃষ্টি শক্তি হয়েছে ৮৭ জন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নগরীতে ব্যাটারী রিক্সা চলাচলের কারণে সিএনজি চালিত অটো রিক্সার ভাড়া ২০-৩০শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। জরিপকালে ৭৩শতাংশ যাত্রী ব্যাটারী চালিত রিক্সাকে ঝুকিপূর্ণ বললেও তারা সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে বাধ্য হয়ে এসব যানবাহন ব্যবহার করে বলে জানান। ৪৩শতাংশ যাত্রী প্যাডেল চালিত রিক্সার চেয়ে দ্রুতগতিতে চলে তাই এই রিক্সা ব্যবহার করেন। ৫৬শতাংশ যাত্রী ঝুকির বিষয়টি জেনেও গণপরিবহন সংকটসহ নানা কারণে বাধ্য হয়ে এই রিক্সায় চড়েন বলে দাবি করেছে। এই রিক্সা প্যাডেল চালিত রিক্সার চেয়ে ১৫৬ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে বলে নগরীর যাত্রী সাধারণের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে যা দেখা গেছে
মোটরযান আইনের সংজ্ঞায় না পড়ায় এবং মোটর চালিত যানবাহন না হওয়ায় নগরীতে এসব রিক্সা বিআরটিএ কর্তৃক নিবন্ধন বা পারমিট দেওয়ার সুযোগ না থাকায় নানা অনিয়মে আশ্রয় নিয়ে এসব ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালাতে গিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে এসব রিক্সার মালিকদের। নগরীতে চলাচলকারী প্রায় ৫৬ হাজার ব্যাটারী চালিত রিক্সা থেকে বিভিন্ন মালিক ও চালক সংগঠনের নামে এসব চাঁদা আদায় করা হয় বলে ব্যাটারী রিক্সা মালিক ও চালকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নানা অজুহাতে এসব যানবাহন থেকে মাসে কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করছে বলে মালিক সমিতির নেতারা পল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশ মালা
(১) নগরীর প্রতিটি মূল সড়কের সাথে সংযুক্ত অলি-গলি রোডে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা হারে ব্যাটারী রিক্সা চলাচলের অনুমতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। (২) প্রতিটি অলি-গলিতে চলাচলকারী ব্যাটারী রিক্সার ভাড়া সুনির্দিষ্ট করে যাত্রী হয়রানী বন্ধ করা। (৩) নগরীর প্রধান সড়কে এসব যানবাহন চলাচল কঠোরভাবে নির্দিষ্ট করা। (৪) যানবাহনের টাইপ টিক করে এবং বুয়েটের ছাড়পত্র সাপেক্ষে বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদন এবং ছোট অলি-গলিতে এসব রিক্সা চলাচলের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি এসব অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে।

Logo-orginal