, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

বিউটিফুল বাংলাদেশ নিয়ে প্রতারণা!

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-২৫ ১৫:২৪:৫৪ || আপডেট: ২০১৫-০৬-২৫ ১৫:২৪:৫৪

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম,বিনোদন ডেক্স: বিউটিফুল বাংলাদেশ ‘স্কুল অব লাইফ’ ১০ মিনিটের তথ্যচিত্রের পরিচালনা নিয়ে প্রতরাণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি এনেছেন নগর বাউল খ্যাত জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস।

সম্প্রতি বিউটিফুল বাংলাদেশ ‘স্কুল অব লাইফ’ ১০ মিনিটের তথ্যচিত্রের পরিচালক হিসেবে পোল্যান্ড ট্যুরিজম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন মইনুল হোসেন মুকুল। তবে মঙ্গলবার বিকেলে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার ওই পুরস্কার গ্রহণকে প্রতারণার সামিল হিসেবে আখ্যায়িত করেন জেমস।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রেড ডট আয়োজিত ‘মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ – বিষয়: তথ্যচিত্র বিউটিফুল বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মূলত এ তথ্যচিত্রের পরিচালক ছিলেন গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্র। কিন্তু মুকুল প্রতারণা করে এই পুরস্কারটি নিজের করে নিয়েছেন।

জেমস বলেন, ‘২০১১ সালে বাংলাদেশে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আইসিসির লোকাল পার্টনার ছিল। তখন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে জন্য আইসিসি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে। এই প্রামাণ্যচিত্রগুলোই হচ্ছে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে আইসিসির বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে মনোনীত হন গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড। আমরা প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং এর কাছ থেকে চূড়ান্ত ওয়ার্ক অর্ডার পাই। তখন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য রেড ডট প্রোডাকশন হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী নুরুদ্দিন আহমদ শুভ্রকে নির্মাণের জন্য পরিচালক মনোনীত করা হয়।’

মাহফুজ আনাম জেমস বলেন, ‘পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর গাজী শুভ্র প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে যৌথ পরিচালকদের মধ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্রের সহকারী ছিলেন মইনুল হোসেন মুকুল। আমাদের টিমে সর্বমোট ১৫৬ জন কাজ করেছে, মুকুল তাদেরই একজন। তাছাড়া প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে তার আর কোনও ভূমিকা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টির আইনি দিক তুলে ধরেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। তিনি বলেন, ‘মুকুল শুধু একজনের সঙ্গেই অপরাধ করেননি। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গেও অপরাধ করেছেন। কপিরাইট আইনও লঙ্ঘন করেছেন। তাই আমরা তাকে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’- এর এই পুরস্কার থেকে পরিচালক হিসেবে তার নাম তুলে নেওয়ার জন্য তিন দিনের উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।’

ব্যারিস্টার ওমর সাদাত বলেন, ‘আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতারণার জন্য ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা করবো। সুনাম ক্ষুণের জন্য ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিত্রগ্রাহক লিংকন খান, গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের মাসুদ পারভেজ, গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্র, এসএটিভির জেনারেল ম্যানেজার তারেক চন্দ্র কর্মকার প্রমুখ।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

Logo-orginal