, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

মিরসরাইয়ে শেষ পর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের কাজ

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-২২ ১৯:৫১:৫৮ || আপডেট: ২০১৫-০৬-২২ ১৯:৫৪:৫৪

Spread the love

Mirsarai Dhaka-ctg Highway Photo-22.06 (3)আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম): ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক একসময় আতঙ্কের নাম ছিল। প্রতিনিয়তই অপ্রশস্ত সড়কের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হতো যাত্রীরা। ঝরে যেতো তরতাজা প্রাণ।

 

অথচ অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত এই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ফলে বর্তমানে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় সাশ্রয় হচ্ছে সময়ের, কমতে শুরু করেছে দুর্ঘটনার হারও। মহাসড়কে চলাচলকারীদের মধ্যে শঙ্কামুক্ত চলাচলের আগ্রহও প্রবল হতে দেখা যাচ্ছে। মহাসড়কের মিরসরাই অংশের চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ তীব্রতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করায় উপজেলার অনেকাংশে যানজটমুক্ত নির্বিঘেন যানবাহন চলাচল করছে। প্রতিবছর ঈদে মহাসড়কের এই অংশ মানে যানজটপ্রবণ এলাকা মনে হলেও এবার কোনপ্রকার যানজট ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারবে ঈদে ঘরমুখো মানুষরা।
মিরসরাই অংশের মহাসড়কের চারলেন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাদামতলী, হাদিফকিরহাট, নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বড়তাকিয়া উত্তর বাজার এলাকায় ডিভাইডার নির্মাণের শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে।

 

এছাড়া নবনির্মিত চারলেন ব্যবহার করে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের ছোট-বড় যানবাহনও চলাচল করছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের মিরসরাই উপজেলা অংশে এবং বড় দারোগারহাট বাজার এলাকায় সড়ক, সড়ক বিভাজনকারী আইল্যান্ড নির্মাণ, সড়কের মাঝখানে আইল্যান্ড সাজানো, কোথাও সংস্কার, কোথাও সড়ক ফিনিশিংয়ের কাজসহ আনুষঙ্গিক নির্মাণ কাজও চলছে।

 

এসব কাজে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি পেভার (নির্মাণ সামগ্রী সড়কে ফেলার কাজে ব্যবহৃত যান), রোলার, এসকেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র), সয়েল কম্পেকটর ব্যবহার করা হচ্ছে। চারলেনের আওতায় ৬১ ফুট প্রশস্ত চারলেন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী হাইওয়েতে নিরাপদ গাড়ি চলাচলে সাড়ে ১১ ফুট জায়গা প্রয়োজন হয়।

 

এই মহাসড়কে ওই মানের চেয়ে বেশি জায়গা পাচ্ছে যানবাহন। এছাড়া সড়কের মাঝে সাড়ে ১৬ ফুট আইল্যান্ড (সড়ক বিভাজক) তৈরির কাজের সুফল হিসেবে মহাসড়কে একদিকে দুর্ঘটনা যেমনিভাবে কমবে, তেমনি পুরো সড়কটি দৃষ্টিনন্দিত হয়ে উঠবে। মিরসরাই পৌরসদর এলাকায় কিছু অংশ সড়ক ডিভাইডারও কার্পেটিংয়ের কাজ এখনও শেষ হয়নি।

 

কাজ চলার কারণে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ধুমঘাট সেতু থেকে ধুমঘাট হাজ্বী চাঁন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কে ডিভাইডারও কার্পেটিংয়ের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। উপজেলার ফেনী নদীর উপর চলছে ধুমঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ।

 

২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া এই সেতুর নির্মান কাজ দুই তৃতীয়াংশ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেতু নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডানকিন লিমিটেডের সাইট ম্যানেজার আবুল কাশেম। ৩ ভাগে চলছে ২১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মান কাজ। নির্মাণ কাজ উত্তর ও দক্ষিণাংশে সম্পন্ন হলেও মাঝখানের অংশে এখনও বাকি রয়েছে। নির্মানাধীন সেতুর পূর্ব পাশে পূর্বের পুরনো সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
বাঁকে বাঁকে মৃত্যুফাঁদ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে ১৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। কোন না কোন বাঁকে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। সুপরিসর সড়ক হলেও বাঁকগুলোতে কোনপ্রকার সাইনপোষ্ট না থাকায় এবং সড়কের কোথাও কোন খানাখন্দক না থাকায় গাড়ির গতি বেশি থাকায় বাঁক এলাকায় যানবাহন চালকরা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারার কারণে বাঁকগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

ইতিপূর্বে মিঠাছরা বাজার গাংচিল ফিলিং ষ্টেশনের সামনে উপর্যুপুরী দুর্ঘটনা ঘটার কারণে একটি বাঁক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বাঁকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ হলো বারইয়ারহাট কমফোর্ট হাসপাতাল লিমিটেডের সামনের বাঁক, বাদামতলী, সুফিয়া রোড় এলাকার বাঁক।

 

মিরসরাই অংশের ১৭ টি বাঁকগুলো হলো কমরআলী রাস্তার মাথা, কমলদহ বাজার এলাকা, নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এলাকা, হাদিফকিরহাট বাজার এলাকা, বড়তাকিয়া বাজার এলাকা, মিরসরাই সদর দক্ষিণ এলাকা, সুফিয়া রোড় এলাকা, মিঠাছরা বাজার, ঠাকুরদিঘী ব্রীক ফিল্ড এলাকা, সোনাপাহাড় ফিলিং ষ্টেশনের সামনে, বারইয়ারহাট কমফোর্ট হাসপাতাল লিমিটেডের সামনে, ধুমঘাট হাজ্বী চাঁন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, জোরারগঞ্জ থানা এলাকা, বিএসআরএম ষ্টীল মিলের সামনে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতাল এলাকা, মধ্যম সোনাপাহাড় বাজার এলাকা, মিরসরাই সদর উত্তর এলাকা।
নির্মিত হচ্ছে ৪ টি ফুটওভার ব্রীজ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে ধুমঘাট থেকে বড়দারোগারহাট পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার অংশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে স্থাপন করা হচ্ছে ৪ টি ফুটওভার ব্রীজ। বড়দারোগারহাট বাজার, নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মিরসরাই পৌরসদর, বারইয়ারহাট পৌরবাজারে স্থাপন করা হবে এই ফুটওভার ব্রীজগুলো।

 

ইতোমধ্যে বারইয়ারহাট পৌর বাজারেরটি স্থাপনের কাজ চলছে। এই ৪ টি বাজারে জনসমাগম বেশী হওয়া এবং মানুষের মহাসড়ক পারাপার বেশী প্রয়োজনীয় হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বসানো হচ্ছে ওভার ব্রীজগুলো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা যুগোপযোগী, দ্রুত, যানজটমুক্তও উন্নততর করার লক্ষ্যে সরকার বৃহৎ এই প্রকল্পটি গ্রহণ করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর অর্থনীতিতে বড় অগ্রগতি আসতে শুরু করেছে।

পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকাসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি জেলার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া সড়কের কাজ শেষের দিকে থাকায় এই রুটে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহনের যাতায়াত সময়ও কমে এসেছে।

 

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের নিবিড় মনিটরিং থাকায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
প্রকল্পের কাজ চলতি বছর শেষ হবে এমন আশা প্রকাশ করে সড়ক পরিবহনও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারব। সামনের ঈদে ঘরমুখো মানুষ যানজটে আক্রান্ত হবে না। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দ্রæতগতিতে প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের জমিতে থাকা ধর্মীয়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে জটিলতা এবং মাটির সংকট সমাধানে অনেক সময় চলে গেছে।

 

Mirsarai Dhaka-ctg Highway Photo-22.06 (4)সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করে এসব সমস্যার সমাধান করেছি। এ পর্যন্ত আমি ১০৩ বার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি।’ তারমতে, প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন আর কোনো সমস্যা নেই।
চারলেন প্রকল্প পরিচালক ইবনে আলম হাসান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যে দ্রæতগতিতে কাজ চলছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির কারণে পিচ ঢালাইয়ের কাজে কিছুটা সমস্যা হয়। বৃষ্টিতে পিচ ঢালাই দেওয়া যায় না। তাই আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক অরুণ আলো চাকমা বলেন, ‘মিরসরাইয়ের ধুমঘাট ব্রীজ এলাকা থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেইট পর্যন্ত ৬৬ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার চারলেন সড়কের মধ্যে ৬৪ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৬৩ কিলোমিটার সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ জনবহুল এলাকাগুলো চি‎হ্নিত করে ইতোমধ্যে ফুটওভার ব্রীজ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ধুমঘাট ব্রীজ থেকে বড় দারোগারহাট বাজার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৪ টি ওভারব্রীজ বসানো হবে। অন্যান্য বাজার কিংবা জনবহুল এলাকায় যদি ওভার ব্রীজ প্রয়োজন হয় তাহলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা এলাকাবাসী থেকে চারলেন কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত করতে হবে।

 

যদি চাহিদা থাকে তাহলে দ্রæত ওভার ব্রীজ স্থাপন করা হবে। এছাড়া মহাসড়কের ইউটার্নে (ক্রসিং) সঠিকভাবে গাড়ী চলাচলের জন্য সাংকেতিক চি‎হ্ন লাগানোর কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।
প্যাকেজ ৭ এর অধীনে মিরসরাইয়ের ধুমঘাট ব্রীজ থেকে মিরসরাই সদর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার চারলেন প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রেজা কন্সট্রাকশানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন জানান, চারলেন প্রকল্পের মিরসরাই অংশের শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে বাকী কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

 

বর্তমানে বৃষ্টির কারণে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতাধীন সড়কের পাকাকরণ, মাটি ভরাটও ডিভাইডার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ৩০ টি কালভার্ট ও অছিমিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বারইয়ারহাট পৌরবাজারে ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলছে যা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে শেষ হবে।
চারলেনে গাড়ি চলাচল শুরু করায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত হয়েছে দাবী করে বারইয়ারহাট পিকআপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, যানজট থাকায় আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে। বর্তমানে তা কমে ৪-৫ ঘণ্টা লাগছে। বিশেষ পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, চারলেন সড়ক যেন গাড়ির পার্কিং ইয়ার্ড বা হাটবাজারে পরিণত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। অন্যথায় চারলেনের সুফল পাওয়া যাবে না।
চারলেন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতিও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. গিয়াস উদ্দিন স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের এই সড়ককে চারলেনে উন্নীত করার দাবী ছিল। সেই কাংঙ্খিত দাবী পূরণ হওয়ায় অবশ্যই সরকারকে সাধুবাদ জানাই।

 

তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনের পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন, দেশের লাইফলাইনখ্যাত মহাসড়ক থেকে আরও বেশি সুবিধা নেওয়া যাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি পদ্মা সেতুর চেয়েও ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি। এটি পুরোপুরিভাবে চালু হলে দেশের অর্থনীতির সদর দরজা খুলে যাবে।
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন বলেন, চারলেনের কাজ শেষের দিকে থাকায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে পুলিশ বাহিনী। আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে তারা দ্রæত যেকোনো অপারেশন করতে পারেন। এছাড়া ইতিমধ্যে একসময়ের যানজটপ্রবণ এলাকা মিরসরাইয়ে যানজট এখন নেই বললেই চলে।

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন ন কে

 

Logo-orginal