, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ইসলামিক স্টেটে আগের থেকে অনেক বেশি নিরাপদে আছি”

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-০৫ ১৪:৫৪:৪৮ || আপডেট: ২০১৫-০৭-০৫ ১৫:২৪:০২

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম ডেস্ক: ইংল্যান্ডের লুটন শহরের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ১২জন সদস্যের যে পরিবারটি গত দেড় মাস ধরে নিখোঁজ ছিল, তাদের বক্তব্য দাবি করে ইসলামিক স্টেট এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা তাদের ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে এবং সেখানে তাদের জীবন ”আগের থেকে অনেক বেশি নিরাপদ”।
আপাতদৃষ্টিতে আইএস-এর একজন সদস্য পরিবারকে উদ্ধৃত করে এই বিবৃতিটি দিয়েছেন।

আইএস-এর সঙ্গে লড়ছে এমন একজন ব্রিটিশ বিবিসির হাতে এই বিবৃতিটি তুলে দিয়েছে।

বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়েছে এই পরিবারটিকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে আইএস-এ যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে এধরনের কথাবার্তা ”জঘন্য”।
এতে বলা হয়েছে এই পরিবারটি এমন দেশে পৌঁছেছে যে দেশ ”দুর্নীতি ও দমনপীড়ন মুক্ত” এবং কোনো একক ব্যক্তির ”নির্দেশে” নয় বরং ”ইসলামের খলিফাদের” নির্দেশে তারা সেখানে গেছে।

বিবৃতির সঙ্গে দেওয়া একটি ছবিতে পরিবারের মাথা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান

বিবৃতিতে পরিবারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে ”আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন তাদের জানাচ্ছি আপনারা শঙ্কামুক্ত হন। আমরা এখানে আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করছি।”

”সব মুসলমানদের প্রতি আমাদের আহ্বান- খলিফার নির্দেশ মেনে আপনার নিজের দেশে চলে আসুন। এই জীবনে এবং পরকালের জন্য আপনি যেখানে সম্মান আদায় করতে পারবেন সেখানে দ্রুত পৌঁছে যান।”

বেডফোর্ডশায়ারের লুটনে মান্নান পরিবারের বাড়ি
এর আগে ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের পুলিশ বলেছিল, এই পরিবারটি সিরিয়ায় গিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এই তথ্য সম্পর্কে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি।

এই বিবৃতি সঠিক কীনা তা নিরপেক্ষভাবে বিবিসি যাচাই করতে পারে নি। এই বিবৃতিতে মুহাম্মদ আবদুল মান্নানের পরিবারের দুটি ছবিও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে ১২ সদস্যের এই পরিবারটি গত এপ্রিলের দশ তারিখে বাংলাদেশে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে তারা তুরস্ক যায় ১১ই মে। তুরস্ক হয়ে তিনদিন পর তাদের ইংল্যান্ডে ফিরে আসার কথা থাকলেও তুরস্কে নামার পর থেকে পরিবারটির আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।
মিঃ মান্নানের আগের স্ত্রীর দুই ছেলেও লুটনে থাকেন, এবং তারাই পরিবারটির নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশকে জানায়।

বাংলাদেশে রওনা হওয়ার আগের দিন এই পরিবারের লুটনের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছিল সন্ত্রাসদমন আইনের আওতায়। এই পরিবারের ২১ বছর বয়সী রাজিয়া খানুম নিষিদ্ধ ইসলামী গোষ্ঠী ‘আল-মোহাজিরুনের’ সদস্য বলে মনে করা হয়।
বিবিসি/আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এ কে

Logo-orginal