, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Avatar Arfat

কারণ ছাড়াই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না সাড়ে ৪ শ’ অডিট কর্মকর্তার

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-২৬ ১৩:০৮:১৩ || আপডেট: ২০১৫-০৭-২৬ ১৩:০৮:১৩

Spread the love

aaaa

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা:   চলতি দায়িত্বে থাকা সাড়ে চার শ’ বিভাগীয় কর্মকর্তাকে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই পূর্ববর্তী দায়িত্ব পালনকালীন সময় থেকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। তারা সবাই অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস্্ ডিপার্টমেন্টের নবম গ্রেডভুক্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা।

 

পদোন্নতির জন্য প্রযোজ্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বছরের পর বছর ধরে নন-ক্যাডারভুক্ত এসব কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশনা ও অর্থমন্ত্রীর সুপারিশও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে পদোন্নতি না পেয়ে এসব কর্মকর্তার মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ।

সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পাঁচটি কারণ ছাড়া কোনো কর্মকর্তাকে দুই মাসের বেশি চলতি দায়িত্বে রাখা যাবে না। কিন্তু এই ৪৪৮ জন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয়নি।

এ সময়ে তাদের যে শুধু চলতি দায়িত্বে রাখা হয়েছে তা-ই নয়, পদোন্নতির জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তা একেকজন সর্বোচ্চ আট এবং সর্বনিম্ন পাঁচ বছর ধরে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘদিন পদোন্নতি না পাওয়া এসব কর্মকর্তার মধ্যে এখন চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী চলতি দায়িত্বে থাকাকালীন সময় থেকে ৪৪৮ জন বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দ্রুত পদোন্নতি দেয়ার জন্য সিএজিকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো: শফিউল আজম গতকাল টেলিফোনে জানান, কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ৪৪৮ জন চলতি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রাপ্তির দিন থেকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে বহু দেনদরবার করেও গুরুতর মানবিক এ সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি একটি ধারার কথা উল্লেখ করে বলেন, সিএজি ৮৩-এর ৬ নিয়োগ ধারা মোতাবেক যেকোনো যোগ্য কর্মকর্তাকে শূন্যপদের বিপরীতে পদোন্নতি বা নিয়োগ দিতে পারে। কিন্তু এখানে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তা মানা হচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে চলতি দায়িত্বে থাকা এসব কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সিএজি অফিসের এক শ্রেণীর অডিট অফিসারের অসৎ স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এ সম্পর্কে পদোন্নতিবঞ্চিত এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, সিএজি কার্যালয়ের প্রস্তাবমত নবম গ্রেডভুক্ত নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণীর ৪৪৮ জন কর্মকর্তার শূন্য পদে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তির তারিখ থেকে পদোন্নতি প্রদানের বিষয়ে পিএসসির (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) সুস্পষ্ট সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে বর্তমান সময় থেকে পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে। এতে করে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ণয়ে জটিলতা, নিয়োগবিধি প্রণয়নে বিলম্ব, পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব, নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ বিলম্ব এ চারটি সুনির্দিষ্ট কারণে সর্বোচ্চ দুই মাসের জন্য চলতি দায়িত্ব প্রদানের অনুমতি রয়েছে।
তবে এ সংক্রান্ত কমিটি বা বোর্ডের পূর্বানুমোদন এবং কর্মকর্তাদের ছুটি, সাময়িক বরখাস্ত, প্রেষণ ও প্রশিক্ষণের জন্য সংরক্ষিত পদ থাকলে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত ৪৪৮ জন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এর কোনোটিই প্রযোজ্য ছিল না।
তা ছাড়া কোনো ধরনের মামলা চলাকালেও উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে পিএসসির সুপারিশ পেতে কোনো আইনানুগ বাধা ছিল না।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, পদোন্নতিবঞ্চিত ৪৪৮ জন বিভাগীয় কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্তির তারিখ থেকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কাছে গত বুধবার একটি নোট পাঠিয়েছেন।
তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সিএজির দফতরের অনেক কর্মকর্তা তাদের নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য পিএসসির সুপারিশ বাস্তবায়নে গড়িমসি করছেন। যথাযথ কমিশনের সুপারিশের পর এখানে গড়িমসি বা কোনো ধরনের পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal