n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৭-১৭ ১৪:২৪:৫৪ || আপডেট: ২০১৫-০৭-১৭ ১৪:২৪:৫৪
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম ইন্টাঃ ডেস্ক: ইহুদিবাদী ইসরাইলকে বছরে আরো দেড়শ কোটি ডলার সামরিক সহযোগিতার দেয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে আমেরিকা। ইরান চুক্তিকে কেন্দ্র করে তেল আবিবের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনা কমিয়ে আনার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইসরাইলি এবং মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ইসরাইল সফরে যাবেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার এবং সে সময়ে এ বাড়তি সামরিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হবে।
ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট তেল আবিবের সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এ প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে ইসরাইল বাড়তি এক স্কোয়াড্রন এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান পাবে। এ ছাড়াও পাবে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উন্নয়নের তহবিল এবং গত আগ্রাসী যুদ্ধে গাজায় বোমা বর্ষণ করায় তেল আবিবের অস্ত্র ভাণ্ডারে যে ঘাটতি হয়েছে তা মিটিয়ে দেয়া হবে।
বর্তমানে ইসরাইল বছরে ৩০০ কোটি ডলার পেয়ে থাকে এবং এর পুরোটাই মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ব্যয় হয়। যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকার কাছ থেকে কিনে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এ সহযোগিতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৪২০ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার সমপরিমাণ করার বিষয়ে আলোচনা করছেন ইসরাইলি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা। পরিচিত সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
খবরে বলা হয়েছে, ইরান চুক্তিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে এবং মার্কিন বাড়তি সামরিক সহায়তা প্রত্যাশা করছে ইসরাইল। বাড়তি এ সহায়তা ২০১৮ সাল থেকে দেয়া শুরু হবে এবং পরবর্তী এক দশক ধরে অব্যাহত থাকবে। ইসরাইলি সূত্র থেকে বলা হয়েছে, তেল আবিব সফরের সময় কার্টার এ প্রস্তাব ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোশে ইয়ালুনের কাছে তুলে ধরবেন।
এদিকে, এরইমধ্যে ইসরাইল অত্যাধুনিক দুই স্কোয়াড্রন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে। এ দুই স্কোয়াড্রনে ৩৩টি বিমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।এ বহরের প্রথম চালান আগামী বছর দেয়া হবে।
এ ছাড়া, গত ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার সঙ্গে কয়েক দফা মহড়া চালাবে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এ মহড়ায় দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবেলা এবং দূরবর্তী দেশে বিমান হামলার মতো বিষয় থাকবে বলে দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে