, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

বাংলাদেশে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই: গাফফার চৌধুরী

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-১৩ ১৪:১২:১১ || আপডেট: ২০১৫-০৭-১৩ ১৪:১২:১১

Spread the love

গাফফার চৌধুরী

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউ ইয়র্ক:  বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে একা বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ উৎখাত করা সম্ভব নয়। একটি সামাজিক বিপ্লবের প্রয়োজন। দেশের সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসলে তা সহজেই সম্ভব হবে।”

 

 

রোববার দুপুরে নিউ ইয়র্কের লাগোর্ডিয়া বিমানবন্দরের একটি হোটেলের বলরুমে নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন গাফফার চৌধুরী।

আমেরিকা প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সম্মিলিত শক্তি এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে এ সংবর্ধনা হবার কথা থাকলেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থান পরিবর্তন করা হয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

 

 

গাফফার চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই। উগ্র ইসলামপন্থী আর মৌলবাদকে প্রতিহত না করতে পারলে দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য আদর্শ সফল হবে না। বাংলাদেশে কখনোই কোনো তালেবানি পতাকা উড়বে না। এ বিশ্বাস নিয়ে আমি ফিরে যাচ্ছি।”

 

তিনি বলেন, “শত অপপ্রচার ও প্রতিকূলতার মধ্যে আজকে এখানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি যেভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, তাতে আমি আশাবাদী বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির বিজয় নিশ্চিত হবে।”

 

 

গাফফার বলেন, “বাংলাদেশের মৌলবাদ ও দুর্নীতি ধ্বংস করা না গেলে আধুনিক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা যাবে না। ধর্মান্ধতা বাংলাদেশে প্রগতির পক্ষে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। একদা এই মৌলবাদী গোষ্ঠি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘কাফের’ ঘোষণা করেছিল। এমনকি কাজী নজরুলকে ঢাকায় সভা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। কিন্তু আজ নজরুলকে বলা হয়, মুসলিম গণজাগরণের নায়ক। কবি ইকবালকে ‘কাফের’ ঘোষণা করেছিল মৌলবাদীরা, অথচ সেই ইকবালই এখন পাকিস্তানের জাতীয় কবি।”

 

আওয়ামীপন্থী এই কলামিস্ট বলেন, “এইসব মৌলবাদী ও ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন দরকার। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে আজ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অবস্থা করুণ।”

 

 

তিনি বলেন, “অন্য ধর্মীয় মানুষের হাতে যত মুসলমান মারা যাচ্ছে, তারচেয়ে দশগুণ বেশি মুসলমান মারা যাচ্ছে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। একসময় ভেটিকানের আধিপত্যের বিরুদ্ধে খ্রিস্টানরা আন্দোলন করেছিল, তেমনি বাংলাদেশেও এখন মৌলবাদ ও ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দরকার।”

 

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরান নবী বলেন, “আজকের এ অনুষ্ঠানটি জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে হবার কথা ছিল। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হুমকিতে জুইস সেন্টার কর্তৃপক্ষ ভেন্যু বাতিল করে দেন। ফলে কয়েক ঘণ্টার নোটিশেই এই সভার আয়োজন করতে হয়েছে। মৌলবাদীরা ঘোষণা করেছিল, তারা কোনো অনুষ্ঠান করতে দেবে না, কিন্তু আজ উদীচী ও আমরা দুটি অনুষ্ঠান করে তার জবাব দিয়েছি।”

 

আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর প্রবাসীদের পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। এ সময় ড. নুরান নবী, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, নিনি ওয়াহেদ, বেলাল বেগ, ড. জিনাত নবী, সরাফ সরকার, শিতাংশু গুহ, কমান্ডর নবী, সুব্রত বিশ্বাস, স্বীকৃতি বড়ুয়া, ফাহিম রেজা নূর, মিথুন আহমেদ, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু ও শিবলি সাদিক উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

Logo-orginal