n_carcellar1957
কোমেন: হাতিয়ার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
প্রকাশ: ২০১৫-০৭-৩০ ২১:০৬:১৩ || আপডেট: ২০১৫-০৭-৩০ ২১:০৬:১৩
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, হাতিয়া (নোয়াখালী): নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া প্রচণ্ড দমকা বাতাস, ঝড়ো হাওয়া, ভারী বর্ষণে উপজেলা নিঝুমদ্বীপ, নঙ্গলিয়া, নলেরচর. কেয়ারিংচর নলচিরা, সুখচর. তমরদ্দি, চরঈশ্বর, চরকিং, সোনাদিয়া ও হাতিয়া পৌরসভার অর্ধশতাধিক গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে একশ’ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধস্ত ও হাজার হাজার গাছপালা ভেঙে যায়। নলচিরা ইউনিয়নের তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের ৭নং সংকেতের কারণে উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এদিকে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার পথে আজমীর হোসেনের সাতদিন বয়সী এক নবজাতকের ঠাণ্ডাজনিত কারণে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। বৈরী আবহাওয়ায় নদী ও সাগর উত্তাল হওয়ায় হাতিয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম চেয়াম্যানঘাট-নলচিরাঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট-চরচেংগা ঘাট রুটে চলাচলকারী সীট্রাক দু’টি, ট্রলার ও নৌকা বন্ধ রয়েছে। সীট্রাক বন্ধ থাকায় হাজার হাজার যাত্রী চেয়াম্যানঘাট-নলচিরা ঘাট রুট দিয়ে মাইজদী, চট্টগ্রাম ও ঢাকা পারাপার করতে না পেরে চরম ভোগান্তি ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত ছয়দিনের প্রবল বর্ষণ ও মৌসুমী ঝড়ো হাওয়ায় হাতিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত।
এসব এলাকার কোথাও কোথাও ৪-৬ ফুট পানির নিচে রয়েছে। ভারী বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে শতাধিক মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে সম্পূর্ণ মাছ ভেসে গেছে। অব্যাহত ভারী বর্ষণ এবং প্রচণ্ড দমকা বাতাস, ঝড়ো হাওয়া, ভারী বর্ষণের কারণে হাতিয়া পৌরসভার চরকৈলাশ গ্রাম, উকিলপাড়া, চরলটিয়া গ্রাম, বেজুগালিয়া গ্রাম, ওছখালীবাজার এবং নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ছোয়াখালী, বাতায়ন, মোক্তারিয়া, নামারবাজার, বন্দরটিলা এলাকা, নলচিরা ইউনিয়নের ফরাজী গ্রাম, স্টিমারঘাট, অলিবাজার, তুফানিয়া গ্রাম ও সুখচর ইউনিয়নের চর আমানউল্লা গ্রাম, রামচরন বাজার, কামাল বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, বৌ-বাজার, দাসপাড়া, কাহার পাড়া, দরগা গ্রাম, বাদশা মিয়া গ্রাম, কাদির সর্দার গ্রামের মানুষগুলো পানিবন্দি আবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দি নিঝুমদ্বীপ, নঙ্গলিয়া, নলেরচর ও কেয়ারিংচর এলাকায় নিরাপদ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে গবাদিপশুসহ গৃহপালিত পশু-পাখির খাবার সঙ্কট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পানিবন্দি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে পানিবন্দি মানুষগুলো অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো: মাইনুদ্দিন ও তার পক্ষে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা মো: মামুন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝড়ো হাওয়া,ভারী বর্ষণের কারণে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার অব্যাহত থাকায় দ্বীপের নিচু এলাকাগুলোর কিছু অংশ পানির নিচে রয়েছে। বেরি বাঁধের বাহিরের ও চরাঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আসার জন্য বুধবার রাত থেকে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এন এ কে