n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৮-০২ ১৮:৪১:৫২ || আপডেট: ২০১৫-০৮-০২ ১৮:৪১:৫২
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা: সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সদস্যপদ আওয়ামী লীগ থেকে বাতিল করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় সংসদের নেই। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিতভাবে একথা জানিয়েছেন খোদ লতিফ সিদ্দিকী। তার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে ইসি থেকে চাওয়া বক্তব্যের জবাবে একথা জানান তিনি।
রোববার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর দেওয়া ওই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘তাকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আওয়ামী লীগের নেই’। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে শুনানি বিতর্কে না গিয়ে বিষয়টি স্পিকারের কাছে পাঠানোরও অনুরোধ করেছেন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেল সিইসি বরাবর লিখিত এ চিঠিটি জমা দেন। চিঠিটি ছিল সংসদ সদস্যের প্যাডে লেখা।
চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী লিখেন, ধর্ম অবমাননার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন যে অভিযোগ আনা হয়েছে আলোচনার স্বার্থে তা যদি ধরেও নেওয়া হয় তা হলেও আওয়ামী লীগ থেকে সদস্যপদ বাতিল করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় সংসদের নেই। কারণ আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি বলে বিবেচনার সুযোগ নেই। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং সংবিধানের ৬৬ (৪) অনুযায়ী তা নিষ্পত্তিও সংগতিপূর্ণ নয়।’
গত ১৩ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই, সেহেতু এই দলের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদেও তাকে বহাল রাখা সমীচীন হবে না।
এরপর লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার। ওই চিঠির সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের চিঠিটিও যুক্ত করেন স্পিকার।
চিঠিটি পাওয়ার পর ইসি আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়। রোববার ছিল ব্যাখ্যা দেওয়ার শেষ দিন।
নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার আওয়ামী লীগও এ ব্যাপারে জানাবে বলে জানা গেছে।
পবিত্র হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় দলীয় সদস্য পদ ও মন্ত্রিত্ব হারানোর পর এবার সংসদ সদস্য পদও হারাতে বসেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ ক্ষেত্রে শুনানি করেই তার ভাগ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ইসি।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়ে স্পিকারের চিঠির পর নড়েচড়ে বসেছে ইসি।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এন এ কে