, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Avatar Arfat

কাজী জাফরের মরদেহ দেখতে যেতে এরশাদের বারণ !

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-২৭ ১৪:০৬:১৫ || আপডেট: ২০১৫-০৮-২৭ ১৪:০৭:১৬

Spread the love

এরশাদ-কাজী জাফর

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা:    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের চার শীর্ষনেতা (কাজী জাফর আহমদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শাহ্‌ মোয়াজ্জেম হোসেন ও মিজানুর রহমান চৌধুরী) একজন, যাকে তিনি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত করেছিলেন- সেই কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুর পর তাকে একনজরের জন্যও দেখতে যাচ্ছেন না তিনি।

বরং বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদকে যাতে দলীয় কেউই দেখতে না যান, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এরশাদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, এরশাদের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এ জন্য ইচ্ছা থাকলেও দলের নেতারা কাজী জাফরকে দেখতে যেতে পারছেন না।

বিষয়টি জানতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তার একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আকতার বলেন, ‘স্যারের নির্দেশে নেতাদের বারণ করা হয়েছে ‘ তিনি আরো বলেন, স্যার (এরশাদ) যে যাবেন, কাজী জাফর সাহেব তো সেই সুযোগ রেখে যাননি।’

এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুর খবর যখন এরশাদকে জানানো হয়, তখন তিনি বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে ছিলেন। দলের শীর্ষ নেতারাও এ সময় কাজী জাফরের মৃত্যুর খবর দেন দলের চেয়ারম্যানকে।

 

তাদের কেউ কেউ কাজী জাফরের বাসায় যাবেন কি না জিজ্ঞেস করলে এরশাদ নীরব থাকেন। বরং কাজী জাফরের মৃত্যুর পরও তার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রাক্তন এ রাষ্ট্রপতির।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি বাসভবন ছেড়ে বনানীর নিজ কার্যালয়ে গেলেও দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ কাজী জাফর আহমদকে একনজর দেখতে যাননি কিংবা তার শোকাহত পরিবারের পাশেও দাঁড়াননি।

 

জানা গেছে, নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে দলবল নিয়ে জাতীয় পার্টি ছেড়ে গিয়ে এরশাদকে বেইমান ও বিশ্বাসঘাতক বলায় কাজী জাফর আহমদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

যে কারণে তার মৃত্যুর পরও সহানুভূতি দেখাতে যাননি এরশাদ। এমনকি ক্ষুব্ধ মনোভাবের কারণে নেতাদেরও বারণ করেছেন তিনি।

তবে এরশাদের এই নিষেধাজ্ঞার পরও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, যুগ্ম মহাসচিব আলমগীর সিকদার লোটনসহ নেতা-কর্মীরা কাজী জাফরের বাসায় ছুটে যান।

এদিকে কাজী জাফর আহমদকে দেখতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে পার্টির চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, মৃত্যুর পর রাজনীতি থাকে না। একজন চিরশত্রুও যদি মারা যায় মুসলমান হিসেবে শত্রুতা ভুলে তার পাশে দাঁড়ানো উচিত।

জাতীয় পার্টির জন্য কাজী জাফরের অবদান রয়েছে। শত্রুতা ভুলে পার্টির চেয়ারম্যান যদি তার কাছে যেতেন, শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতেন, তাহলে সেটাই হতো সত্যিকার রাজনীতি। ওই দলের নেতারাও ফিরে আসতেন আমাদের জাতীয় পার্টিতে।

এ ধরনের ভুলের কারণে দল দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান কার পরামর্শে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তিনিই জানেন।’

অন্যদিকে এরশাদ না গেলেও কাজী জাফরের জানাজায় অংশ নিতে পারেন তার ছোট ভাই জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাকে দেখার ও জানাজা পড়ার ইচ্ছে তো আছেই। দেখি দল কী সিদ্ধান্ত নেয়।’ তিনি পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানান। -রাইজিংবিডি

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

 

Logo-orginal