, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথে জাল টাকা!

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-১৭ ০৯:০৫:২২ || আপডেট: ২০১৫-০৮-১৭ ০৯:০৫:২২

Spread the love

dbbl-logo_82191

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) থেকে মাঝেমধ্যেই মিলছে জাল টাকা। কিন্তু এ নিয়ে কলসেন্টার ও  আশপাশের শাখায় অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বরং জাল টাকার দায় অস্বীকার করছে  বেসরকারি এই ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ।

 

 

চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপসী গ্রামের হযরত আলী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রূপসী বুথ থেকে ৫ হাজার টাকা তোলেন। এর মধ্যে বের হয় এক হাজার টাকার একটি জাল নোট। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় অভিযোগ করেন হযরত। কিন্তু কাজ হয়নি তাতে।

 

 

চলতি বছরের ২৩ মার্চ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাজীপুরের একটি বুথ থেকে ৫শ’ টাকার একটি জাল নোট বের হয়। ভুক্তভোগীর নাম হেলাল উদ্দিন। জাল নোটটি বের হওয়ার পর তিনি ব্যাংকের গ্রাহক অভিযোগ কেন্দ্রে (কল সেন্টার) ফোন করে জানালেও কোন ফল পাননি।

 

হেলাল উদ্দিন বলেন, গাজীপুরের ৪৬৮ নম্বর বুথ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা তুলি। এটিএম থেকে এক হাজার টাকার একটি আসল নোট বের হলেও ৫শ’ টাকার নোটটি বের হয় জাল। যার নম্বর কঞ ৫০৫৬৩৭৩। ।

 

বুথে কোনো নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে হেলাল উদ্দিন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কল সেন্টারে ফোন করেন। কিন্তু অনুসন্ধান বা অভিযোগ কেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের কিছুই করার নেই।

 

পরের দিন ২৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১২টায় হেলাল উদ্দিন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এখান থেকেই হেলাল উদ্দিন তার হিসাবটি খুলেছেন। ব্যাংকের ম্যানেজার বুথে জাল টাকা পাওয়ার প্রমাণ চান।

 

হেলাল টাকা তোলার পরে তার মোবাইলে আসা এসএমএসটি ম্যানেজারকে দেখান। দেখার পরে কিছুই করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখার ম্যানেজার।

 

২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর আইডিবি ভবনের ৪৩ নম্বর বুথ থেকে ১ হাজার টাকা তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিলন। ফাস্টফুডের দোকানে দেওয়ার পর জানতে পারেন টাকাটি জাল। মিলনের ভাষ্য, এভাবে বুথ থেকে জাল টাকা দেওয়া হলে নিজের টাকা তুলেই জাল টাকা বহনের দায়ে জেল খাটতে হবে।

 

গত বছর ব্যাংক থেকেই জাল টাকার নোট দেওয়া হয়েছিল সাংবাদিক আনিকা ফারজানাকে। ফারজানা বলেন, শুধু বুথে নয়। জাল টাকা দেওয়া হয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকেও। গত বছর চেক দিয়ে তোলার সময় আমাকেও দেওয়া হয়েছিল জাল টাকা। সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজারকে জানানোর পরও কোনো কাজ হয়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি)  শামসি তাবরেজ  গ্রাহকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 

তিনি বলেন, আমাদের এটিএম বুথ থেকে জাল টাকা বের হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

Logo-orginal