admin
প্রকাশ: ২০১৫-০৮-১০ ১১:২৪:৪৪ || আপডেট: ২০১৬-০৫-২০ ২২:৫০:২৮
মন্তব্য প্রতিবেদন: একজন মানুষকে লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, নির্যাতন করার জন্য যে কাজটি ১ম করা হয়, তাহা হল মানবাধিকার হরণ। মানবাধিকার বঞ্ছিত মানুষের জন্য এগিয়ে আসেনা বা আসতে পারেনা তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো। মৌলিক অধিকারতো নেই, আদালতের নিদের্শও পালন হচ্ছেনা মাওলানা শামসুল ইসলামের ক্ষেত্রে ।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা আনম শামসুল ইসলামকে তৃতীয়বারের মতো জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
গতবৃহস্পতিবার (৬আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়
কোতোয়ালি থানা
পুলিশ।
আদালত জামিন দিচ্ছে কিন্তু পুলিশ দিচ্ছেনা, কিন্তু কেন ? জামিন পাওয়া মাত্র নতুন মামলা দিয়ে আবার সেই জেল হাজতে ।
কে এই শামসুল ইসলাম ? কি তার অপরাধ ? তিনি কি ভয়ংকর কোন অপরাধী ?
এমন কিছু অনুসন্ধানী প্রশ্ন নিয়েই আমার এই প্রতিবেদন- মাওলানা শামসুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, এক দশক ধরে এই দায়িত্বে আছেন ।
সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রামের সম্ভ্রান্ত ও সু-শিক্ষিত পরিবারে বেড়ে উঠা শামসুল ইসলাম এম এ পাশ করার মধ্য দিয়ে শিক্ষা জীবনের ইতি টেনেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
তুখোড় এই ছাত্রনেতা এক যুগের বেশী সময় জড়িত ছিলেন ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিয়ে, দায়িত্ব পালন করেছেন শাখা থেকে কেন্দ্রে, এতিহ্যবাহী চুনুতি হাকিমিয়া মাদ্রাসায়ও শিবিরের রাজনীতিতে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মাওলানা শামসুল ইসলাম ।
ছাত্রনেতে হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা, মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল ও কেন্দ্রীয় সভাপতি ।
শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আমন্ত্রনে সফর করেছেন আমেরিকা, ইঊরোপ, যুক্তরাজ্যে, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ।
সব চাইতে বেশী সফর করেছেন মধ্যেপ্রাচ্যে। আমি ( লেখক) মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী হিসাবে উনার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়েছে ।
২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসিলে জনাব শামসুল ইসলামকে সি ডি এ গুরুত্বপুর্ন পদে আসীন করা হয়, সেই সুবাদে উনার নিকট সুপারিশ করি সি ডি এ ফ্লট ক্রয়ে সহযোগিতার, উত্তরে উনি বললেন, নিয়ম মেনে আবেদন জমা দিয়ে নিতে হবে, উনার করার কিছুই নেই । কারো হক নষ্ট করার মত সাহস উনার নেই ।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জ়ীবনে ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত এই মানুষটিকে তার দুশমনরাও সম্মানের চোখে দেখে ।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে আমীর হয়ে বেশী পরিচিত পান ৯৫ সালের শেষ দিকে বি এন পি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে দক্ষতা, বিচক্ষনতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে ।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এক নেতা বলেছেন, রাজনৈতিক বা সামাজিক সবক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি পারদর্শী ,
সর্বজনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন এই রাজনীতিক নেতা সৎ মানুষ হিসাবে পরিচিত সবখানে ।
সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য হিসাবে তার ইমেজ খুবই উজ্জ্বল এবং দুর্নীতি মুক্ত ।
আজ অবদি তার শত্রু পক্ষও কোন অভিযোগ আনতে পারেনি ।
জীবনের দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, দাপট ইত্যাদি থেকে মুক্ত ছিলেন জনাব শামসুল ইসলাম ।
মিতব্যয়ী মাওলানা শামসুল ইসলাম সামান্যতে সন্তুষ্ট থাকতে ভালবাসেন ।
তার ব্যাক্তি ও পারিবারিক জীবনের কথা না লেখে শুধু এক কথায় বলা যায়, তাদের মত সু-শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামে খোঁজে পাওয়া দুস্কর ।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শুধু কি জামায়াতের নেতা হওয়ায় বার বার তাকে গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে ? নাকি পর্দার আড়ালে এমন কেঊ দাবা খেলছে, যাতে তিনি বের হতে না পারেন, আর দাবার খেলোয়াড় জিতে যান ?
এই প্রশ্নের জবাব খোজার চেষ্টায় আছি, ইনশাআল্লাহ সময় হলে পাঠকদেরও জানানো হবে ।
আশা করি তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হবে, বন্ধ হবে সব রকম ষড়যন্ত্র, আদালতে প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জানাব শামসুল ইসলামকে মুক্তি দেয়া নৈতিক দায়িত্ব ।
লেখকঃ আবুল কাশেম (প্রবাসী)
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, এ এইচ বি
Comments are closed.