আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রাম: বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল গ্রামে জনদূর্ভোগ বেড়েছে। কধুরখীল-চৌধুরী হাট জিইসি সড়কের দুরবস্থার কারণে এ নাভিশ্বাস। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ।
এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সড়কটির উন্নয়নে উদাসীন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মুরাদমুন্সীর হাট হয়ে কধুরখীল খোকার দোকান পর্যন্ত জিইসি সড়ক ও কধুরখীল খোকার দোকান থেকে কধুরখীল চৌধুরীহাট পর্যন্ত ইপি সড়কটির বিটুমিন পিচ ওঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানি আর কাদায় এ সড়ক একাকার হয়ে থাকে।
এ সড়ক দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় কধুরখীল জলিল-আম্বিয়া কলেজ, কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কধুরখীল ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়সহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে পূর্ব গোমদণ্ডী, কধুরখীল, ইমাম নগর, চরণদ্বীপ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারহীন থাকায় এসব অঞ্চলের রোগীদের পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দূর্ভোগ। এ সড়ক দিয়ে জলিল-আম্বিয়া কলেজ থেকে মুরাদ মুন্সীরহাট হয়ে পৌরসভা সদরে রয়েছে সিএনজি ট্যাক্সি সার্ভিস।
সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত সিএনজি ট্যাক্সি ও টেম্পো দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সড়কে সৃষ্ট গর্তে সিএনজি ট্যাক্সির চাকা আটকে গিয়ে গাড়ি বন্ধ হয়ে উল্টে যাওয়া এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে এ সড়কে অন্তত ১০-১৫টি গাড়ি ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
সিএনজি ট্যাক্সিচালক আবদুস সালাম বলেন, পৌরসভা সদর থেকে চৌধুরী হাট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারে নাজুক। বৃষ্টি হলে তো যানচলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়ে। সড়কের এ অবস্থার কারণে কয়েক দিন পরপর গাড়ি বিকল হওয়ার ফলে গ্যারেজে নিয়ে যেতে হয়। একই সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালক মো. সোলায়মান বলেন, সড়কটির এ অবস্থার কারণে এ সড়কে ভাড়া নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না।
কধুরখীল এলাকার বাসিন্দা লিটন ধর, রূপক চৌধুরী, শিমুল শীল, মো. সরোয়ার, মো. কাঞ্চন, মো. ফারুক, ইউপি তথ্য সচিব মো. বশর বলেন, যানচলাচল তো দূরে থাক এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার না করার ফলে সড়কের এ বেহাল অবস্থা হয়েছে।
এলাকার সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরাও এ ব্যাপারে উদাসীন। ইচ্ছে করলে পরিষদের বিভিন্ন উৎস থেকে শুরুতেই ইট, কংক্রিট বালি দিয়ে হলেও সংস্কার করলে সড়কটির এ হাল হতো না। এছাড়া রাস্তার দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার ফলে সড়কের অনেক অংশে পানি জমে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সুজিত কান্তি মজুমদার বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সড়কটি সংস্কার করা হবে।