, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Avatar Arfat

চন্দনাইশের ধোপাছড়ি হতে পারে আর্কষণীয় পর্যটন স্পট

প্রকাশ: ২০১৫-১০-০৬ ১৪:১৭:৫৯ || আপডেট: ২০১৫-১০-০৬ ১৪:২৪:৪৫

Spread the love

lohagara ctg 6.10

চন্দনাইশ প্রতিনিধি, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড় ও নদী বেষ্টিত দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ি অঞ্চল ধোপাছড়িকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন ভাবা হয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদে ঘেরা ধোপাছড়িতে প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্য্য অকৃপণভাবে ঢেলে দিয়েছে। এরপরও অনিন্দ সুন্দর, সম্ভাবনাময় পাহাড়ি এ অঞ্চলটিকে পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারী কোন উদ্যোগ নেই।

পাহাড় ও নদী পরিবেষ্টিত চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের আয়তন ১৪ হাজার ২ শত ৭৭ বর্গ একর। এর পূর্ব সীমান্তে বান্দরবান, উত্তর সীমান্তে রাঙ্গুনিয়া ও দক্ষিণ সীমান্তে সাতকানিয়ার অবস্থান। বিশাল এই ইউনিয়নটিতে যাওয়ার জন্য সহজ মাধ্যম হচ্ছে নদীপথ। এর দক্ষিণ পাশে বয়ে গেছে শঙ্খ নদী। নদী পথে ধোপাছড়িতে যাওয়ার সময় আকাশ-পাহাড়-নদীকে এক সাথে দেখতে অপূর্ব দেখায়। দেখলে মনে হবে আকাশের মেঘ পাহাড়কে আলিঙ্গণ করছে, যার প্রত্যক্ষদর্শী নদী! প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এ স্থান ঘুরতে গেলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।

নৌপথে ধোপাছড়ি ভ্রমণ করতে গেলে রোমাঞ্চকর অনুভ’তি হবে। এখানে উপজাতিরা নিজেদের থাকার জন্য গড়ে তুলেছে বাঁশের কুঠি ও কঞ্চি দিয়ে ভাসমান ঘর। চলাচলের আঁকাবাঁকা পথ, পাহাড়ের রঙ্গিন ও সাদা মাটি, উঁচু-নিচু পাহাড় সবকিছুই উপভোগ্য। শীত মৌসুমে অতিথি পাখিদের কলতানে প্রকৃতি হয়ে উঠে আরো আকর্ষণীয়। বর্ষা মৌসুমে নীল মেঘে ঢাকা থাকে এ পাহাড়ী অঞ্চল। বনফুলের সুবাস নাকে ভেসে আসে। আকাশ ঢেকে থাকে লক্ষ কোটি তারায় তারায়। এখানে জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ নেমে আসে মাথার উপরে। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ও জোনাকির আলো পাহাড়ি পরিবেশকে করে আরো প্রাণবন্ত।

এছাড়া ধোপাছড়ির পাহাড়ে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের বৃহৎ সেগুন বাগান। এখানে বনজ গাছ ছাড়াও ফলজ ও ভেষজ (ঔষধি) গাছের বাগান রয়েছে। বছরজুড়ে পাহাড়ের পাদদেশে পেয়ারা, লেবু, আদা, বাউকুল, আপেলকুল, আম, লিচু, কলাসহ ইত্যাদি বিভিন্ন ফলমূল ও মৌসুমী শাকসবজি বা খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এখানকার বিস্তীর্ণ পাহাড়ে গড়ে উঠতে পারে বিনোদন কেন্দ্র, বনায়ন কেন্দ্র, বন গবেষণাগার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য চাষ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, পাখির অভয়ারণ্য ইত্যাদি।

এদিকে পাহাড়ী সমতল মিলে বিশাল আয়তনের এই ধোপাছড়িতে যাতায়াতের জন্য নির্মাণাধীন খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মানাধীন এই সড়কটির কাজ শেষ হলে সড়ক পথে এই পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া সহজ হবে। কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা উদ্যোগ নিয়ে ধোপাছড়িকে পর্যটন এলাকা এবং ইকোপার্ক হিসাবে গড়ে তুললে সংশ্লিষ্টরা প্রচুর লাভবান হবে।

ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ আরটিএম নিউজকে জানান, এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে ইউনিয়নটি হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা প্রয়োজন।

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal