, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

Avatar nu ajad

অগ্নিদগ্ধ নববধূর ৯ দিন পর মৃত্যু

প্রকাশ: ২০১৫-১২-০৫ ১২:৪৮:৪১ || আপডেট: ২০১৫-১২-০৫ ১২:৪৮:৪১

Spread the love

aq

 আরটিএমনিউজ২৪ডটকম,বাগেরহাট: উপজেলার রাজপাশা গ্রামে সোনিয়া আক্তার (২০) নামে এক অগ্নিদগ্ধ নববধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ৯ দিন পর মৃত্যু হয়েছে তার।

শনিবার ভোর ৫টার দিকে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু হয় তার।

মৃত সোনিয়া আক্তার বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোজাহার শিকদারের মেয়ে এবং শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিবি এ ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সোনিয়ার বাবা ভ্যানচালক মোজাহার শিকদার জানান, এক বছর আগে মোবাইলে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার রাজপাশা গ্রামের রজব আলীর ছেলে মণ্টু আকনের সঙ্গে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ঈদের সময়ে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু মণ্টুর আগের একটি বিয়ে রয়েছে জানতে পেরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গত ২৬ নভেম্বর সোনিয়া গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার শশুরবাড়ির লোকজন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আগুনে সোনিয়ার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা তার বাঁচার আশা ছেড়ে দেয়।

টাকার অভাবে  চিকিৎসা চালাতে না পেরে সোনিয়াকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।  শনিবার ভোরে অবস্থার অবনতি হলে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমশের আলী জানান, গত ২ ডিসেম্বর পিরোজপুরের  ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ সোনিয়া নামে এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে বলে একটি বার্তা পাঠায়। আমরা সেই বার্তা অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার একটি জবানবন্দি নেই। জবানবন্দিতে অগ্নিদগ্ধ সোনিয়া তার স্বামী মণ্টু তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। সোনিয়ার মৃত্যু হওয়ায় এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এএম

Logo-orginal